না চাইলেও বর্ষার সময় বাইরে বেরোতে হয়। আর জল-কাদা প্যাচপ্যাচে রাস্তায় সবচেয়ে বেহাল দশা যার হয়, তা হল পায়ের। কাজের প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে বেরোতেই হয়। পা-তো আর প্লাস্টিকে মুড়ে বেরনো যায় না। জল, কাদা, নোংরা সবই জমতে থাকে আঙুলের ফাঁকে। এছাড়াও নোংরা জলে বেশিক্ষণ পা তেকে গেলেই পায়ে চুলকানির সমস্যা হয়। আঙুলও জ্বালা করতে থাকে। সঙ্গে একাধিক ত্বকের সমস্যা তো থাকেই। তাই বর্ষাকালে পায়ের যত্নের ব্যাপারে বিশেষ যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন৷ তা না হলেই কিন্তু পায়ে ফাঙ্গাল ইনফেকশন হতে পারে। পায়ের ইনফেকশন দীর্ঘদিন ফেলে রাখা একেবারেি ঠিক নয়। যাদের সুগারের সমস্যা রয়েছে তাঁদের এ ব্যাপারে আরও অনেক বেশি সাবধান হওয়া প্রয়োজন। বর্ষাকাল মানেই ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগের রমরমা। এই রোগ সমস্যা কিন্তু অনেকটাই আসে নোরা জল থেকে। তাই দেখে নিন এই বর্ষায় কী ভাবে সুরক্ষিত রাখবেন পা।
সঠিক জুতো বাছুন- বর্ষাকালে জুতো ভেজা থাকলে সেখান থেকেও একাধিক সমস্যা হয়। তাই এমন জুতো পরুন যে জুতোয় জল জমবে না। প্রয়োজনে একাধিক জুতো ব্যবহার করুন। অফিসে একজোড়া স্যান্ডেল রেখে দিতে পারেন। তাহলে সারাদিন ভেজা জুতো পরে থাকতে হবে না। জুতি, পাম্প শ্যু, স্নিকার্স এই সময় এড়িয়ে চলাই ভাল। সপ্তাহে অন্তত একবার পরিষ্কার করে জুতো কেচে নেবেন অবশ্যই।
ফুট বাথ- প্রতিদিন বাড়ি ফিরে ফুট বাথ নিতে ভুলবেন না। গরম জলে বাথ সল্ট, অ্যান্টিসেপটিক লোশন আর শ্যাম্পু ফেলে তা ভিজিয়ে রাখুন অন্তত ২০ মিনিট। প্রয়োজনে ওই জলের মধ্যে লেবুর রসও দিতে পারেন। এবার মাইল্ড সোপ দিয়ে পা ভাল করে ঘষে পরিষ্কার করে নিন। এতে যাবতীয় ধুলো-ময়লা দূর হয়ে যাবে। পায়ে কোনও রকম সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকবে না। পা-আরাম পাবে। তবে পা শুকনো করে মুছে নিয়ে ক্রিম লাগাতে কিন্তু ভুলবেন না।
পা ঘষে নিন- যদি রোজ গরম জলে পা ডোবানোর সময় না পান তাহলে পায়ের পাতায় সাবান দিয়ে ঝামা পাথর দিয়ে ঘষে নিন। এতে ময়লা পরিষ্কার হবে। পা থাকবে রিল্যাক্স। ব্রাশ দিয়ে নখের চারপাশের ময়লাও তুলে নেবেন। নইলে সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকে যায়।
অ্যান্টিসেপটিকের ব্যবহার- বাইরে থেকে বাড়িতে ঢুকলে প্রথমেই অ্যান্টিসেপটিক দেওয়া জলে পা ধুয়ে নিন। তাহলে পায়ে কোনও সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকবে না। বাচ্চা থেকে বয়স্ক সকলেরই এই অভ্যাস রপ্ত করা প্রয়োজন।