হাতে ও পায়ের সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও পরিস্কার থাকতে অধিকাশ মহিলাই শেভ (Shaving ) করেন। শেভ করার পর ত্বকে অনেকসময় ছোট ছোট বিন্দুযুক্ত ফুসকুড়ির মত র্যাশেস দেখা যায়, তখন তাকে স্ট্রবেরি স্কিন (Strawberry Skin) বলা হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ত্বকের উপরের স্তর বিভিন্ন কারণে ছোট ছোট ছিদ্রগুলি কালো ও স্ট্রবেরি বীজের (Strawberry) মতো দেখায়, তাহলে বুঝবেন আপনি স্ট্রবেরি স্কিনের সমস্যায় (Skin Care) ভুগছেন। তবে চর্মবিশেষজ্ঞদের মতে, এটি এমন কিছু গুরুতর বিষয় নয়। অন্তঃকৃত লোম ও খোলা ছিদ্রগুলির কারণে কালো বিন্দুগুলি উপস্থিত হয়। ওই ছিদ্র গুলিতে তেল ও ময়লা আটকে গিয়ে স্ট্রবেরি ত্বকের আকার ধারণ করে। এই ছিদ্রগুলি বাতাসের সংস্পর্শে আসে ও শেভ করার পরে বাতাসের যে কোনও ময়লা ছিদ্রগুলিকে কালো করে তুলতে পারে।
অনেকেই এই সমস্যার সঙ্গে কেরাটোসিস পিলারিসের সঙ্গে ভুল করতে পারে। একে আবার চিকেন স্কিন বলা হয়। ত্বকের উপর লাল দাগ তৈরি করে বলে এমন নাম। তবে এটি একটি জেনেটিক সমস্যা, সাধারণত উপরের বাহু ও উরুতে এই সমস্যা স্পস্ট হয়। তবে তা ক্ষতিকারক নয়। এই অবস্থার জন্য চিকিত্সার কোনও প্রয়োজন নেই। তবে সুন্দর সুন্দর পোশাক পরার সময় অসুবিধা তৈরি করতে পারে। এই স্ট্রবেরি স্কিনের জন্য কয়েকটি জিনিস মাথায় রাখলে তা ধীরে ধীরে হ্রাস পায়। সেগুলি কী কী তা দেখে নিন একনজরে…
ময়েশ্চারাইজিং- স্ট্রবেরি স্কিনের প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করা যায় বিশেষত শুষ্ক ত্বকের উপর। ময়েশ্চারাইজ করে এর প্রতিকার সম্ভব। বিশেষজ্ঞদের কথায়, স্নান করার পর কোল্ড ক্রিম লোশ বা বডি বাটার দিয়ে আলতো করে মাসাজ কররুন। কারণ এর ফলে ত্বক হাইড্রেট হতে সুবিধা হয়। ময়েশ্চারাইজ করার পর ভাল ভাবে ঘুমাতে যান। তারপর ফের একবার ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন। ত্বকের এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিন এই পদ্ধতি মেনে চলুন।
সঠিকভাবে শেভিং করুন- পা বা হাতে শেভিং কীভাবে করছেন, তা কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। অধিকাংশ জানেনই না শেভিং করার জন্য কেমন রেজার প্রয়োজন। ত্বকের জন্য কঠিন রেজার ও সরঞ্জাম ব্যবহার করা উচিত নয়। আবার কম সময়ের মধ্যে কাজ সারতে দ্রুত গতিতে শেভিং করাও উচিত নয়। এরফলে ত্বক স্বাভাবিকভাবে শুষ্ক, সংবেদনশীল হয়ে পড়ে। ময়েশ্চারাইজিং শেভিং ক্রিম ব্যবহার করে শেভ করতে পারেন। নতুবা সাবান ও জল দিয়ে ত্বক ধোয়ার পর শেভ করতে পারেন। তাতে ত্বক থাকে কোমল ও ময়েশ্চারাইজড।
এপিলেটর ব্যবহার: রেজার ব্যবহার না করে ব্যাটারি চালিত এপিলেটর ব্যবহার করতে পারেন। তাতে শেভিং বা ওয়াক্সিং ফলিকুলাইটিস হওয়ার সম্ভাবনা কম। এই বৈদ্য়ুতিক যন্ত্রের ফলে লোম শিকড় থেকে চুল টেনে আনে। চাই এপিলেটর আটকে থাকা ময়লা ছিদ্র থেকে তুলে আনতে সাহায্য করে।
এক্সফোলিয়েটিং- বিশেষ করে ব্ল্যাকহেডস থাকলে এক্সফোলিয়েটিং করা সবচেয়ে বেশি কার্যকরী। মসৃণ ত্বক পেতে সাহায্য করে এটি। ত্বকে এক্সফোলিয়েটিং করতে হলে একটি ওয়াশক্লথ বা লুফা দিয়ে শাওয়ারে ত্বক স্ক্রাব করুন। খোলা ছিদ্রপথগুলি বন্ধ করতে স্নান করে ময়েশ্চারাইজার ব্য়বহার করুন।