মাঝ নভেম্বর পেরিয়ে গিয়েছে। কয়েকদিন পর থেকেই বিয়ের মরশুম শুরু হয়ে যাবে। তার সঙ্গে ধীরে ধীরে কমবে তাপমাত্রা। আরও শুষ্ক হবে ত্বক। এই সময় ত্বকের বাড়তি যত্ন নিতে হয়। দু’বেলা নিয়ম করে ময়েশ্চারাইজার, হাইড্রেটিং মাস্ক ব্যবহার করতে হয়। পাশাপাশি ব্যবহার করতে হয় ফেস সিরাম। ত্বককে ভিতর থেকে আর্দ্রতা জোগাতে সাহায্য করে সিরাম। ভিটামিন সি থেকে হায়ালুরোনিক অ্যাসিড—বাজারে বিভিন্ন ধরনের সিরাম পাওয়া যায়। কিন্তু আপনার ত্বকের জন্য কোনটি উপকারী তা কি জানেন? বিশেষত এই শুষ্ক আবহাওয়ায় ত্বকের যত্নে কোন ধরনের ফেস সিরাম ব্যবহার করতে হয়, তা জেনে রাখা দরকার।
সাধারণ ত্বক: সাধারণ ত্বক সময়ের সঙ্গে বদলাতে থাকে। যেমন খুব গরমে তৈলাক্ত হয়ে ওঠে এবং শীতে শুষ্ক হয়ে যায়। তাছাড়া সারা বছর নরম ও মসৃণই থাকে। এই ধরনের ত্বকে খুব বেশি সমস্যা দেখা দেয় না। সান ট্যান ছাড়া অন্য কোনও বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাতে হয় না। তাই এক্ষেত্রে আপনি ভিটামিন সি সিরাম ব্যবহার করতে পারেন। ভিটামিন সি সিরাম ত্বকের জৌলুস বৃদ্ধিতে এবং কোলাজেন গঠনে সাহায্য করে।
শুষ্ক ত্বক: এই ধরনের ত্বক শীতকাল এলেই অতিরিক্ত মাত্রায় শুষ্ক হয়ে যায়। এক্ষেত্রে এমন সিরাম বেছে নিন যাতে গ্লিসারিনের পরিমাণ বেশি। শুষ্ক ত্বকের যত্নে আপনি হায়ালুরোনিক অ্যাসিড ব্যবহার করতে পারেন। এটি আপনার ত্বক অতিরিক্ত আর্দ্রতা প্রদান করবে। পাশাপাশি চামড়াকে টানটান করতে সাহায্য করে এবং বলিরেখা ঠেকায়।
ব্রণ-প্রবণ ত্বক: ব্রণ-প্রবণ ত্বকের বিশেষ খেয়াল রাখতে হয়। এই ধরনের ত্বকে ব্রণ হওয়ার কারণে প্রদাহ তৈরি হয়। পাশাপাশি উন্মুক্ত রোমকূপের সমস্যা বাড়তে থাকে। এক্ষেত্রে এমন সিরাম বেছে নিতে হবে যা ব্রণর সমস্যা কমাবে এবং ত্বককে মসৃণ করে তুলবে। স্যালিস্যালিক অ্যাসিড আপনার ব্রণ-প্রবণ ত্বকের সঙ্গী হতে পারে।
সব ধরনের ত্বক: শুষ্ক বা সংবেদনশীল ত্বক কিংবা তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যায় ভুগছেন। অথচ বুঝতে পারছেন না কোন ধরনের ফেস সিরাম আপনার জন্য উপযুক্ত। এক্ষেত্রে আপনি নিয়াসিনামাইড অ্যাসিড বেছে নিতে পারেন। এটি দাগছোপ, ব্রণ, বলিরেখা দূর করে। পাশাপাশি তৈলাক্ত ও শুষ্ক ত্বকের জন্য আদর্শ নিয়াসিনামাইড অ্যাসিড। পাশপাশি আপনি ভিটামিন সি ও রেটিনল সিরামও ব্যবহার করতে পারেন।