চড়ছে পারদ। সেই সঙ্গে বাড়ছে ঘাম, আবহাওয়াজনিত অস্বস্তিও। রোদে বেরোলেই মুখ জ্বালা, চামড়া লাল হয়ে যাওয়া, চোখ দিয়ে জ্বল পড়া এসব তো আছেই। গরমেও চামড়া বেশ শুকিয়ে যায়। আর চামড়া শুষ্ক হলেই কিন্তু একাধিক ত্বকের সমস্যা দেখা যায়। চামড়া ফেটে যাওয়া, লালচে হয়ে যাওয়া, র্যাশ-ফুসকুড়ির সমস্যা এসব লেগেই থাকে। গরমেই বাড়ে মূলত অ্যালার্জির সমস্যা। এর পিছনে কারণ হিসেবে দূষণ, অতিরিক্ত রোদ এসব তো আছেই, এছাড়াও এই সময় ফুলের পরাগ অনেক বেশি সক্রিয় থাকে। সেখান থেকেও কিন্তু এই সমস্যা আসতে পারে। আবার সঙ্গে কোভিডের প্রকোপও রয়েছে। কোভিডের সংক্রমণ জনিত কারণেও কিন্তু সেখান থেকে অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে।
গরমে অ্যালার্জি হলে সাইনাস, নাক দিয়ে জল পড়া, হাঁচি, কাশি, চুলকোনো, চোখ দিয়ে জল পড়া এসব লেগেই থাকে। আবার ফুলের পরাগ থেকে অ্যালার্জির সমস্যা হয় বলে গলা চুলকোনো, গলা ব্যথা এসবও কিন্তু হতে পারে। ফলে সেখান থেকে কফের সমস্যা আসতে পারে। কাশি, গলা চুলকোনো, গলায় ইনফেকশন, ঘামাচি এইসবও হতে পারে। এছাড়াও গরমে অনেকেই মশারি টাঙিয়ে ঘুমোন না। সেই সঙ্গে পোকা মাকড়ের উপদ্রপ থাকে। আর তাই সেখান থেকেও কিন্তু অ্যালার্জির সমস্যা আসে। আগস্ট মাস পর্যন্ত কিন্তু এই অ্যালার্জির সমস্যা গেলেই থাকে। এছাড়াও অনেক সময় পরিবেশের প্রভাবও কিন্তু পড়ে ত্বকের উপর। যদি ঘরের পরিবেশ নোংরা হয় তাহলে কিন্তু আগে ঘর পরিষ্কার করার ভাবনা রাখুন।
তবে এই অ্যালার্জির সমস্যা প্রায়শই যদি হয় তাহলে কিন্তু চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না। তিনি আপনার ত্বকের ধরণ অনুযায়ী ওষুধ দিতে পারবেন। আর বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ ব্যবহার করতে পারলে কিন্তু সবচেয়ে ভাল কাজ হয়। অ্যালার্জির পরীক্ষা করাতেও কিন্তু ভুলবেন না। এছাড়াও কিছু ক্ষেত্রে এই সব অ্যালার্জির সমস্যা কিন্তু পারিবারিক হয়। সেখান থেকেও এই সমস্যা চলে আসে। ফলে নিজেকে সতর্ক থাকতে হবে। কেমিক্যাল ফ্রি প্রসাধনী সামগ্রী ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। কাউকে দেখে জিনিস কিনবেন না, বরং নিজের ত্বকের ধরণ অনুযায়ী কিনুন। এছাড়াও আরও যা কিছু মেনে চলবেন-
যদি পরাগ থেকে সমস্যা হয় তাহলে ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ রাখুন। যদি ডাস্ট অ্যালার্জি থাকে তাহলে মাস্ক মুখে রাখুন। ধুলো যাতে না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
বাড়ির বিছানা-বালিশ সব সময় পরিষ্কার রাখুন। ৩ দিন ব্যবহার করার পর তা কেচে ফেলুন। বাড়িতে ঝুল, ধুলো-বালি রাখবেন না।
বাইরে থেকে ফিরে হাত-পা ধুয়ে, পোশাক পরিবর্তন করে তবেই বিছানায় উঠুন।
বাড়ির পরিবেশের দিকে নজর রাখুন। খুব বেশি আর্দ্র যাতে না হয় সেদিকে যেমন খেয়াল রাখবেন তেমনই অতিরিক্ত শুষ্ক হওয়াও কিন্তু ভাল নয়।