কেউ কেউ রয়েছেন যাঁরা সারাদিন ত্বকের যত্ন নেন না। আবার এমনও অনেকে রয়েছেন যাঁরা নিয়ম মেনে ক্লিনজ়িং, টোনিং, ময়শ্চারাইজ়িং করেন। কিন্তু এই উভয় ধরনের মানুষই রাতে ত্বকের যত্নে একটি বিশেষ ভুল করে ফেলেন। সারাদিন ত্বক যত্ন নিন বা না নিন রাতে শুধু নাইটক্রিম ব্যবহার করেন অনেকেই। কিন্তু রাতে শুধু নাইটক্রিম ব্যবহার করাই ত্বকের জন্য যথেষ্ট নয়। ঘুমনোর সময় আপনার ত্বকের বিশেষ পরিচর্চা দরকার। কারণ রাতে ত্বক মেরামত ব্যস্ত থাকে। ওই সময়টুকু ত্বকের বিশেষ যত্ন না নিলে ত্বকের ক্ষতি হয়। তাই রাতে কীভাবে ত্বকের দেখভাল করবেন, দেখে নিন…
নাইটক্রিম ব্যবহারের আগে অবশ্যই ক্লিনজ়িং, টোনিংয়ের পদ্ধতি অবশ্যই মেনে চলতে হবে আপনাকে। বয়স যদি ৩০-এর পেরোয় তাহলে এই স্টেপ বাদ দিলে চলবে না। হ্যালিউরনিক অ্যাসিড যুক্ত কোনও নাইটক্রিম ব্যবহার করুন। এটি আপনার ত্বককে মেরামতে সাহায্য করবে। কিন্তু আপনার নাইট স্কিন কেয়ার রুটিন এখানেই শেষ নয়। রাতের ত্বকের যত্ন নিতে গেলে লাইফস্টাইলেও পরিবর্তন আনতে হবে আপনাকে।
বিছানা বা বালিশে কী ধরনের ওয়াড় ব্যবহার করেন? সুতির তৈরি ওয়াড় কিন্তু আপনার ত্বকের জন্য ভাল নয়। সুতির তৈরি ওয়াড়ের কারণে ত্বক কুঁচকে যেতে পারে। এখান থেকেই সময়ের আগে ত্বকে জন্ম নেয় বলিরেখা। সুতির বদলে আপনি স্লিক বা স্যাটিনের ওয়াড় ব্যবহার করুন। এগুলো অনেক বেশি মসৃণ ও কোমল এবং এটি ত্বকের উপর প্রভাব ফেলে না।
কতদিন অন্তর আপনি বালিশের ওয়াড় পরিবর্তন করেন? অপরিষ্কার বালিশের ওয়াড় ত্বকের জন্য ভাল নয়। বালিশের ওয়াড়ে লেগে থাকা ধুলো, বালি, তেল, ময়লা রাতে আপনার ত্বকের ক্ষতি করে। প্রয়োজনে নিয়মিত বালিশের ওয়াড় পরিবর্তন করুন। অন্তত সপ্তাহে দু’বার বালিশের ওয়াড় পরিবর্তন করুন। তবেই ভাল থাকবে ত্বক।
রাতের ডায়েটও কিন্তু এই ক্ষেত্রে বিশেষ জরুরি। আমরা যা খাবার খাই তার প্রভাব আমাদের ত্বকের উপরও পড়ে। যত বেশি পুষ্টিকর খাবেন, ত্বক তত বেশি উজ্জ্বল হবে। এই কারণে ডিনারে অতিরিক্ত নুন দেওয়া খাবার, জাঙ্ক ফুড, অতিরিক্ত তেলে ভাজা খাবার, অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন। এতে বদহজমের সমস্যা এড়ানো যাবে এবং ত্বক ভাল থাকবে। পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। এতে ত্বক হাইড্রেটেড থাকবে এবং ত্বকে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা আসবে।