রোজ ব্যবহার না হলেও ড্রেসিং টেবিলে গোলাপ জলের বোতল থাকেই। আবার অনেকের নিত্যদিনের সঙ্গী গোলাপ জল। টোনার হিসেবে সবচেয়ে সস্তা ও কার্যকর উপাদান এই গোলাপ জল। গোলাপ জল ব্যবহারে ত্বকের আর্দ্রভাব বজায় থাকে, পিএইচ স্তরের ভারসাম্য বজায় থাকে এবং ব্রণ, তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। শীতেও আপনি ব্যবহার করতে পারেন এই উপাদান। তবে, শীতকালে ত্বকের বাড়তি যত্নের প্রয়োজন পড়ে। তাই তো এই মরশুমে বাড়ে কোল্ড ক্রিমের ব্যবহার। এই ময়েশ্চারাইজারেও যদি গোলাপের গুণ মেলে, কেমন হবে?
ত্বকের যত্ন নিতে সাধারণত বাজারচলতি ক্রিমই ব্যবহার করে বেশিরভাগ মানুষ। কিন্তু বাজারচলতি ক্রিম সবসময় যে ত্বকের জন্য উপকারী হবে, তা নয়। এতে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। তাতে গোলাপের গুণ নাও মিলতে পারে। তবে, আপনি যদি বাড়িতে ময়েশ্চারাইজার বানিয়ে নেন, তাহলে গোলাপের উপকারিতা মিলবে। তার সঙ্গে পাবেন ত্বকে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা। তাছাড়া আপনার কয়েক শ’টাকাও বেঁচে যাবে। সামান্য উপকরণ দিয়ে বাড়িতে বানাতে পারেন গোলাপের কোল্ড ক্রিম।
কোল্ড ক্রিম ত্বকে অতিরিক্ত আর্দ্রতা উপাদান করে। তাই এমন উপাদান বেছে নিতে হবে, যা হোমমেড ক্রিমও দক্ষতার সঙ্গে ত্বকের উপর কাজ করবে। হাতের কাছে গোলাপের পাপড়ি, গোলাপ জল, অ্যালোভেরা জেল, ভিটামিন ই ক্যাপসুল ও অলিভ অয়েল থাকলেই বানিয়ে নিতে পারবেন ময়েশ্চারাইজার।
বাড়িতে যে উপায়ে গোলাপের ক্রিম বানাবেন-
বাজার থেকে তাজা গোলাপ ফুল কিনে আনুন। ফুলের পাপড়ি ছাড়িয়ে নিন। পাপড়িগুলো জলে ধুয়ে নিন। জল ঝরে গেলে পাপড়িগুলো মিক্সারে দিয়ে মসৃণ পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার একটি বাটিতে ৩-৪ চামচ অ্যালোভেরা জেল নিন। আপনি অ্যালোভেরার পাতা থেকে তাজা জেল ব্যবহার করতে পারেন। কিংবা বাজারচলতি অ্যালোভেরা জেলও ব্যবহার করতে পারেন।
অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে ১ চামচ অলিভ অয়েল ভাল করে মিশিয়ে নিন। খুব ভাল করে মিশ্রণটি ফেটিয়ে নিন, যাতে ঘন মিশ্রণ তৈরি হয়। এবার এতে ২টি ভিটামিন ই ক্যাপসুলের নির্যাস যোগ করুন। শেষে মিশিয়ে দিন গোলাপ ফুলের পেস্ট। একদম শেষে অল্প গোলাপ জল মিশিয়ে দিন। চাইলে ২ ফোঁটা রোজ এসেনশিয়াল অয়েলও মেশাতে পারেন। উপকরণগুলো একে-অপরের সঙ্গে মিশে গেলে তৈরি গোলাপের কোল্ড ক্রিম।
প্রতিদিন রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এই কোল্ড ক্রিম ব্যবহার করুন। প্রথমে ক্লিনজার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন। এরপর মুখে গোলাপ জল লাগিয়ে নিন। একদম শেষে এই হোমমেড গোলাপের কোল্ড ক্রিম মেখে নিন। নিয়মিত এই কোল্ড ক্রিম ব্যবহার করলে আর কোনও ময়েশ্চারাইজারের প্রয়োজন পড়বে না।