রোজ নিয়ম করে পড়াশোনা করলে যেমন দিনের শেষে মনের দিক থেকে ভাল থাকা যায়, পরীক্ষায় ভাল করা যায় তেমনই রোজ নিয়ম করে ত্বকের যত্ন নিলে আর পার্লারে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। কুড়ি পেরোলেই ত্বকে নানা পরিবর্তন আসতে শুরু করে। যদিও এর জন্য দায়ী কিন্তু আমাদের হরমোন। আর তাই এই বয়স থেকেই ত্বকের যত্ন নেওয়া শুরু করুন। তাহলে ত্বকে দাগ-ছোপ এসব পড়বে কম। এছাড়াও ত্বক কুঁচকে যাবে না। ত্বকে রক্ত সঞ্চালন যত ভাল হবে ত্বক ততই ভাল হবে। পার্লারে অতিরিক্ত রাসায়নিক ব্যবহারের ফলে ত্বকের প্রাকৃতিক ঔজ্জ্বল্য হারিয়ে যায়। ত্বক রুক্ষিম হয়ে যায়। আর আজকাল বাজারে এত রকম প্রোডাক্ট পাওয়া যে কোনও ভাল আর কোনটি ভাল নয় তা বেছে নেওয়াও খুব মুশকিলের হয়। তাই রইল সম্পূর্ণ স্কিন কেয়ার গাইডলাইন।
ত্বক রাতের বেলা নিজের যাবতীয় ক্ষতি মেরামত করে নেয়। এর ফলে ত্বকের উপরে মৃত কোষ আর সেবাম জমে যায়। তাই প্রতিদিন সকালে অবশ্যই মাইল্ড ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। তবে ফেসওয়াশ কেনার আগে ভাল করে দেখে নেবেন। এতে মুখের উজ্জ্বলতা বাড়বে। সেই সঙ্গে মুখ দেখতেও ভাল লাগবে। রোজ টোনার অবশ্যি ব্যবহার করবেন। এতে মুখ ঠান্ডা থাকে। বজায় থাকে ফ্রেশনেসও। স্নান করে টোনার লাগাতে পারেন। অথবা বাইরে থেকে এসে মুখ ধুয়ে টোনার লাগিয়ে নিন। সবচেয়ে ভাল যদি রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে মুখ ধুয়ে টোনার লাগিয়ে নিতে পারেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, ওয়াটার-বেসড উপাদান যা ত্বক পরিচর্যায় প্রাইমারের মতো কাজ করে। টোনার ত্বকের PH মাত্রা বজায় রেখে, ত্বকের প্রদাহ কমিয়ে ত্বক শীতল রাখতে সাহায্য করে।
আপনার বয়স কুড়ির হোক বা ষাট, ত্বক পরিচর্যার রুটিনে ভিটামিন C রাখতেই হবে। এতে ত্বকের কালো দাগছোপ হালকা হয়, সেই সঙ্গে হাইপারপিগমেন্টেশন এর সমস্যাও মিটে যায়। এর ফলে ত্বক মসৃণ আর উজ্জ্বল দেখায়। বিশেষজ্ঞদের মতে ভিটামিন সি কোলাজেন উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়, ফলে বয়সের ছাপ পড়া কমে গিয়ে ত্বক তরুণ সতেজ থাকে।
শেষ এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হল সানস্ক্রিন। বিশেষজ্ঞদের মতে, ত্বকের যত যত্নই নিন সব জলে যাবে যদি UVF আর UVB-র কারণে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গরমকালে শুধু ট্যান আর হাইপারপিগমেন্টেশন ঠেকালেই হবে না, সানস্ক্রিনেরও নানা প্রয়োজনীয়তা আছে।