Home Remedies: যে দিন থেকে তাপমাত্রা বেড়েছে চিকিৎসকেরা বার বার টক দই খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। এতে নাকি শরীর ঠান্ডা থাকে, এড়ানো যায় হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি। পুষ্টিবিদদের মতে, এই খাবারে রয়েছে প্রোবায়োটিক, যা শরীরের একাধিক সমস্যাকে নির্মূল করে। অন্যদিকে, আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞেরা বলছে, টক দইয়ের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে বেশি উপকার মিলবে। সুতরাং যে দিক দিয়ে দেখা যায়, টক দই শরীরের পক্ষে ভাল। কিন্তু টক দই আর মধুর সংমিশ্রণ ত্বকের (Skin Care) জন্য কতটা উপকারী সেটা কি জানেন? শরীর নিয়ে ভাবতে ভাবতে ত্বকের খেয়াল রাখবেন না, তা হয় না। বরং হেঁসেলের এই দুটি উপাদানকে রূপচর্চায় কাজে লাগান। কীভাবে ভাবছেন, চলুন দেখে নেওয়া যাক…
যুগ যুগ ধরে ত্বক ও চুলের পরিচরচার জন্য টক দই ও মধু ব্যবহার হয়ে আসছে। এই দুটি উপাদান প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যতে ভরপুর। তাছাড়া এই ঘরোয়া প্রতিকারের কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তাই এই গরমে চুল ও ত্বককে ভাল রাখতে, নির্দ্বিধায় ব্যবহার করতে পারেন টক দই ও মধু।
টক দইয়ের মধ্যে ভিটামিন বি রয়েছে যা ত্বককে ময়শ্চারাইজ ও হাইড্রেট করতে সাহায্য করে। টক দইয়ের মধ্যে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড সান ট্যান, বলিরেখা, সূক্ষ্ম রেখা দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে। এর পাশাপাশি ডার্ক সার্কেল দূর করে এবং ত্বকের টোন বজায় রাখতে সাহায্য করে।
অন্যদিকে, মধু প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক উপাদান হিসেবে কাজ করে। ব্রণ সমস্যা দূর করতে মধু দারুণ কার্যকরী। অন্যদিকে মধু ত্বককে হাইড্রেট করে এবং নরম, উজ্জ্বল ও চকচকে করে তুলতে সাহায্য করে। ত্বককে দীর্ঘস্থায়ী হাইড্রেশন প্রদান করে ত্বকের শুষ্কতা হ্রাস করে।
দু’ চামচ টক দইতে এক চামচ মধু মিশিয়ে ত্বকে লাগান। ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। প্রতি সপ্তাহে দু’ থেকে তিন বার আপনি এই ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন। এতেই আপনি পেয়ে যাবেন নিখুঁত ত্বক।
যদি চুলের কথা বলেন, সেখানেও দারুণ উপযোগী টক দই। টক দই চুলে প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। এই উপাদানটু স্ক্যাল্পের চুলকানি ও খুশকির সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। অন্যদিকে, মধুর অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য মাথার স্ক্যাল্পকে সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে। এর পাশাপাশি এই দুই উপাদানের সংমিশ্রণ চুল পড়া রোধ করে এবং চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
ত্বকের মতো টক দইয়ের সঙ্গে মধু মিশিয়ে চুলে ও স্ক্যাল্পে লাগান। ৩০ মিনিট মতো রেখে দিন। এরপর শ্যাম্পু করে নিন। দেখবেন আগের চাইতে অনেক মসৃণ হয়ে গিয়েছে আপনার চুল। এই হেয়ার প্যাকের নিয়মিত ব্যবহারে আপনি চুলের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ফিরে পাবেন।