Essential Oil: চুলের ওপর কীভাবে প্রয়োগ করবেন এসেন্সিয়াল অয়েল?
প্রথমত, একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, কিছু কিছু এসেন্সিয়াল অয়েল রয়েছে যা চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সক্ষম। চুলকে মজবুত এবং চুলের বৃদ্ধিতে দারুণ প্রভাব ফেলে এসেন্সিয়াল অয়েল। তার সঙ্গে এই ধরনের তেলের মধ্যে থাকে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল ও অ্যান্টি ইনফ্লেমটরি বৈশিষ্ট্য যা স্কাল্পের চুলকানি ও সংক্রমণ থেকেও রেহাই দেয়।

বর্তমানে রূপচর্চার ক্ষেত্রে জায়গা দখল করে রেখে এসেন্সিয়াল অয়েল। ত্বকের পাশাপাশি চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করতেও সহায়ক এই তেল গুলি। কিন্তু সমস্যা হল বাজারে এক নয় একাধিক এসেন্সিয়াল অয়েল পাওয়া যায়। এবং তাদের গুণাগুণও একে অপরের থেকে আলাদা আবার কিছু একও বলা চলে। চুলের ক্ষেত্রে কোনটা সহায়ক এবং কীভাবেই বা এই তেল চুলের ওপর প্রয়োগ করা যায় এই বিষয় নিয়ে এখনও অনেকের মনেই বিভ্রান্তি রয়েছে।
প্রথমত, একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, কিছু কিছু এসেন্সিয়াল অয়েল রয়েছে যা চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সক্ষম। চুলকে মজবুত এবং চুলের বৃদ্ধিতে দারুণ প্রভাব ফেলে এসেন্সিয়াল অয়েল। তার সঙ্গে এই ধরনের তেলের মধ্যে থাকে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল ও অ্যান্টি ইনফ্লেমটরি বৈশিষ্ট্য যা স্কাল্পের চুলকানি ও সংক্রমণ থেকেও রেহাই দেয়। তাই আপনি এসেন্সিয়াল অয়েল হিসাবে ল্যাভেন্ডার, পেপারমিন্ট, রোজমেরি, লেমনগ্রাস, ট্রি টি, ল্যাং ল্যাং এইগুলি চুলের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে পারেন।
কিন্তু কখনওই কোনও এসেন্সিয়াল অয়েল সরাসরি ত্বক বা চুলের ওপর প্রয়োগ করবেন না। যেহেতু এগুলির দ্রুত প্রতিক্রিয়া ফেলে তাই সরাসরি প্রয়োগ করলে ত্বকের সংক্রমণ, জ্বালাভাব ইত্যাদি হতে পারে। তাই সব সময় কেরিয়ার তেল অর্থাৎ অন্য তেল যা আমরা নিয়মিত ব্যবহার করি, তার সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করুন। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক চুলের ক্ষেত্রে কীভাবে প্রয়োগ করবেন এসেন্সিয়াল অয়েল।
ল্যাভেন্ডার, পেপারমিন্ট, রোজমেরি, লেমনগ্রাস, ট্রি টি, ল্যাং ল্যাং তেলগুলির মধ্যে যে কোনও একটি তেল আপনি চুলের জন্য বেছে নিতে পারেন। আপনার যদি ড্রাই চুল হয়, তাহলে কেরিয়াল তেল হিসাবে শিয়া, নারকেল বা অ্যাভোকাডোর তেলকে বেছে নিতে পারেন। আর যদি আপনার স্কাল্প তৈলাক্ত হয় তাহলে গ্রাপসিড, অ্যাপ্রিকড বা আমন্ডের তেলকে বেছে নিন। এবার এক চামচ কেরিয়ার তেলে ২ থেকে ৩ ফোঁটা আপনার পছন্দের এসেন্সিয়াল অয়েল তাতে যোগ করুন।
এই সংমিশ্রণটি ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে চুলের স্কাল্পে ২ থেকে ৩ মিনিট লাগিয়ে ম্যাসাজ করুন। সার্কুলার মোশনে ভাল করে ম্যাসাজ করবেন যাতে চুলের গোড়ায় তেলটা পৌঁছায়। এতে মাথায় রক্ত চলাচলও ভাল থাকবে। অনেকেই এরপরই শ্যাম্পু করে নেন। কিন্তু ভাল ফলাফল পাওয়ার জন্য এরপর সারারাত এটাকে রেখে দিন এবং পর দিন সকালে শ্যাম্পু করুন। এই প্রক্রিয়াটি নিয়মিত করলে আপনার চুলের বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্য উন্নত হবে।
আরও পড়ুন: ত্বকের ওপর গাধার দুধের এই উপকারিতা গুলি জানলে অবাক হয়ে যেতে পারেন!
আরও পড়ুন: ত্বকের উজ্জ্বলতা ফুটিয়ে তুলুন কালো জামের মাধ্যমে!
আরও পড়ুন: গলার ওপর পড়া বার্ধক্যের ছাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখুন ঘরোয়া উপায়ে!
