যতই বিউটি পার্লারে গিয়ে ফেস ক্লিন আপ, ফেশিয়াল, ব্লিচিং এসব করানো হোক না কেন ধরোয়া উপাদানের কোনও বিকল্প নেই। ত্বকে যত বেশি কেমিক্যাল ব্যবহার করা হবে ত্বক তত তাড়াতাড়ি বুড়িয়ে যায়। দুদিনের জন্য ত্বক ফরসা করে লাভ নেই। এর দীর্ঘমেয়াদি ফল খুব একটা ভাল হয় না। যত বেশি কেমিক্যাল ব্যবহার করবেন ততই ত্বকের জন্য ক্ষতি। প্রাচীন কালে রাজরানীরা ত্বকের পরিচর্যায় দুধের সর ব্যবহার করতেন। আর তাতেই খুলত ত্বকের জেল্লা। বিশেষজ্ঞদের মতে, সরে উপস্থিত saturated fat এক নয়, একাধিক ভাবে ত্বকের জেল্লা বাড়ায়। শীতে ত্বকের জেল্লা বাড়াতে এই দুধের সরের কোনও জুড়ি নেই।
বাইরে বেরোলেই ত্বকে ট্যান পড়ে। ত্বক বুড়িয়ে যায়। এক্ষেত্রেও কাজে লাগানো যায় দুধের সর। রোদে ত্বক পুড়ে গেলে কিংবা কালো ছোপ ধরলে নিয়ম করে লাগিয়ে নিন দুধের সর। এক্ষেত্রে চামচ দুয়েক দুধের সরের সঙ্গে এক চামচ বেসন মিশিয়ে থকথকে একটা পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। এবার তা মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর জল দিয়ে ধুয়ে নিলেই চলবে।
সারা বছরই ত্বক শুষ্ক থাকে? তাহলে তো দুধের সর মুখে লাগাতে ভুলবেন না যেন! কারণ, দুধের সর হল প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার, যা ত্বকের হারিয়ে যাওয়া আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনে। এমনকী স্কিন সেলের নানা ক্ষতও দূর করে। ফলে ভিতর থেকে ত্বক এতটাই সুন্দর হয়ে ওঠে যে জেল্লা বাড়ে চোখে পড়ার মতো। দুধের সরের সঙ্গে মধু মেশালেই কাজ চলে যাবে।
দুধের সর, কাঁচা হলুদ, বেসন, মধু আর লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে নিন। এবার তা যত্ন করে মুখে লাগান। আর এতেই ফিরবে ত্বকের উজ্জ্বলতা। বিয়ের আগে এভাবে রূপচর্চা করলে লাগবে না ফেশিয়ালও।
দুধের সর আর ওটসের গুঁড়ো একসঙ্গে মিশিয়ে স্ক্রাবও বানিয়ে নিতে পারেন। নিয়ম করে মুখে লাগালে ধুলো, ময়লা উঠে যায। ত্বক থাকে পরিষ্কার।