Kombucha Tea: পুজোর আগে ত্বকের জেল্লা ফেরাতে চান? এবার এই জাপানি চা দিয়ে রূপচর্চা সারুন
Skin Care Tips: ত্বকে সাধারণত ক্লিনজার, ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা হয়েই থাকে। রূপচর্চার সর্বক্ষেত্রেই আপনি কম্বুচা চা ব্যবহার করতে পারবেন।
রূপচর্চা করতে গিয়ে আপনি অবশ্যই বিভিন্ন ধরনের পণ্য ব্যবহার করেছেন। কখনও অ্যান্টি-এজিং ক্রিম, কখনও অয়েল-ফ্রি ময়েশ্চারাইজার, অ্যান্টি-অ্যাকনি প্রোডাক্ট ইত্যাদি। এমনকী ত্বক সংক্রান্ত সমস্যার জন্য ঘরোয়া প্রতিকারও বেছে নিয়েছেন। কিন্তু ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য চা ব্যবহার করেছেন কখনও? না, গ্রিন টি নয়। এটা হল কম্বুচা চা। কম্বুচা চা হল গাঁজন করা টক ও মিষ্টি স্বাদের পানীয়। কালো বা সবুজ চাকে গাঁজন করে এই কম্বুচা চা তৈরি করা হয়। কম্বুচা চায়ের স্বাস্থ্য উপকারিতা যেমন রয়েছে, তেমনই এটি ত্বকের জন্যও ভীষণ উপকারী।
কম্বুচা চা যেহেতু গাঁজন পদ্ধতির মাধ্যমে তৈরি করা হয়, তাই এটি প্রোবায়োটিকের ভাল উৎস। পাশাপাশি এতে বেশ ভাল পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। ত্বকে সাধারণত ক্লিনজার, ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা হয়েই থাকে। রূপচর্চার সর্বক্ষেত্রেই আপনি কম্বুচা চা ব্যবহার করতে পারবেন। কীভাবে? চলুন দেখে নেওয়া যাক…
ত্বককে হাইড্রেট রাখে
যেহেতু এটি তরল আকারে পান করা হয় এবং এটির বেশিরভাগই অংশ জল দিয়ে গঠিত, তাই এটি ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত কম্বুচা চা পান করলে ত্বক ধীরে-ধীরে উজ্জ্বল হতে শুরু করে। পাশাপাশি সূক্ষ্ম রেখা ও বলিরেখাও কমে যায়।
এক্সফোলিয়েশনে সাহায্য করে
কম্বুচার চায়ের মধ্যে ল্যাকটিক অ্যাসিড রয়েছে। এটি ত্বককে এক্সফোলিয়েট করতে ভীষণ উপযোগী। তুলোর বলে কম্বুচা চা নিয়ে ত্বকের উপর লাগিয়ে নিন। তারপর সাধারণ জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এতে ত্বকের উপরিতলে থাকা বিষাক্ত পদার্থ দূর হয়ে যাবে। পাশাপাশি কম্বুচার মধ্যে উপস্থিত ভিটামিন ও মিনারেলগুলো ত্বককে পুষ্ট করে তুলবে।
ত্বককে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে
যদি পেটের সমস্যার কারণে ত্বকে ব্রণ দেখা দেয় তাহলে কম্বুচা চার পান করা স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণভাবে উপযোগী। এর মধ্যে থাকা প্রোবায়োটিক অন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর করে। এখান থেকে ত্বকের উপর ফুসকুড়ি, ব্রণর সমস্যাও কমে যায়। এছাড়া কম্বুচা চায়ের মধ্যে ভিটামিন বি-এর একাধিক কমপ্লেক্স রয়েছে। এগুলো ত্বকের স্বাস্থ্য গঠন করতে সাহায্য করে। এমনকী মজবুত চুল ও নখ গঠনেও সাহায্য করে এই চা।
ত্বকের টেক্সচার উন্নত করে
কম্বুচা চায়ের মধ্যে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি উজ্জ্বল ত্বক গঠনে সাহায্য করে। পাশাপাশি এর মধ্যে অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য এবং প্রাকৃতিক অ্যাসিড রয়েছে যা ত্বকের পিএইচ স্তরের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে। পাশাপাশি এটি ত্বকের বার্ধক্য প্রতিরোধ সাহায্য করে। খাওয়ার পাশাপাশি তুলোর বলে কম্বুচা চা নিয়ে ত্বকের উপর প্রয়োগ করলেই মিলবে উপকারিতা।