বর্ষা প্রায় দেরগোড়ায় এসেও ভোগাচ্ছে। এদিকে বাতাসে বেড়েই চলছে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। তীব্র গরমে বাড়িতে টেকা এখন দায়। সেই সঙ্গে গা-হাত সব সময় চ্যাটচ্যাট করছে। গরমে আর ঘামে ময়লাও বসছে বেশি। আর তাই গরমে যে কোনও ত্বকের সমস্যা সবচেয়ে বেশি জাঁকিয়ে বসে। ঘুলো,ময়লা ঘাম থেকেই বাড়ে র্যাশ, চুলকুনির সমস্যা। গরমে শরীরে ঘাম বেশি হয় বলে রোমকূপের মুখগুলো আটকে থাকে। ফলে সরীরের অতিরিক্ত টক্সিন ঠিকমতো বেরোতে পারে না। দীর্ঘক্ষণ শরীরে ঘাম বসলে গন্ধ হয়, সেখান থেকে কিছুক্ষেত্রে হয় ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণও। ঘাম জমে সমস্যা হতে পারে গোপনাঙ্গেও। নরোভাইরাস এবং মাঙ্কিপক্সের আতঙ্ক যে ভাবে চেপরপে বসছে তাতে চিকিৎসকেরা সব সমনয় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার কথা বলছেন। আর গরমে কোনও ফাংগাল ইনফেকশন হলে ফেলে রাখবেন না। রোজ পরিষ্কার করে স্নান করুন। সেই সঙ্গে মেনে চলুন ঘরোয়া এই সব টোটকা। এই টোটকায় ত্বক পরিষ্কার থাকবে, কমবে অ্যালার্জি, চুলকুনির সমস্যাও।
বরফ- গরমে চুলকুনি, র্যাশের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে রোজ ব্যবহার করতে পারেন বরফ। এতে শরীর আরাম পাবে। সমস্যাও কমবে। গরমে ঘামে ত্বকের পোরসগুলো বন্ধ হয়ে যায়। সেই সব ত্বক-মুখ খুলতে খুবই কার্যকরী হল বরফ। হিট র্যাশ এড়াতে বরফের জুড়ি মেলা ভার। তাই রোজ স্নানের পর বরফল ঘষে নিতে পারেন। এছাড়াও জলে বরফ মিশিয়েও স্নান করতে পারেন।
অ্যালোভেরা- অ্যালোভেরা জেলও খুব ভাল ত্বকের সমস্যায়। গরমে যে শুধুমাত্র ত্বকের সমস্যা হয় এরকমটা নয়। চুলের গোড়াতেও ঘাম বসে যায়। চিটচিট করে। চুল বেশি পড়ে। তাই গরমে রোজ মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে পারলে ভাল। নইলে শ্যাম্পু করে অ্যালোভেরা জেল আর মধু একসঙ্গে মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে নিতে পারেন। ত্বকের জ্বালাভাব কাটাতেও ভাল কাজ করে অ্যালোভেরা। বাইরে বেরনোর আগে অ্যালোভেরা জেল লাগাতে পারেন। এছাড়াও বাইরে থেকে ফিরে ঠান্ডা অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে নিন মুখে।
নারকেল তেল- নারকেল তেলও যে কোনও র্যাশের সমস্যায় ভাল কাজ করে। এই তেলের মধ্যে অতিরিক্ত কোনও সুগন্ধী বা ভেজাল থাকে না। যে ্ংস লাল হয়ে গিয়েছে বা চুলকোচ্ছে সেখানে নারকেল তেল লাগালেও ভাল ফল পাবেন।
ক্যালামাইন লোশন- যুগ যুগ ধরে ত্বকের পরিচর্যায় ব্যবহার করা হয় এই লোশন। যে কোনও কাটা-ছেঁড়ায় খুব ভাল কাজ করে এই লোশন। এছাড়াও ব্রণ, চুলকুনির সমস্যাতেও নির্ভয়ে ব্যবহার করুন এই লোশন। এই লোশনের কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। যে কোনও বয়সের যে কোনও মানুষ ব্যবহার করতে পারেন।
পাকা পেঁপে- পাকা পেঁপের মধ্যে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা ত্বকের যে কোনও সমস্যায় খুব ভাল কাজ করে। পাকা পেঁপে ভাল করে চটকে নিয়ে ওর সঙ্গে মধু মিশিয়ে নিন। এবার তা চুলে লাগান প্যাক হিসেবে, হাতে-মুখেও লাগিয়ে নিন। এতে ত্বক থাকবে নরম। যে কোনও দাগ ছোপ থেকেও পাবেন মুক্তি। তবে এই র্যাশ, চুলকুনির সমস্যা খুব বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে কিন্তু ভুলবেন না।