সারাদিনে ত্বকের জন্য অনেক কিছু করেন। মুখ ধোওয়া, সানস্ক্রিন লাগানো, লোশন ব্যবহার। কিন্তু দিনের শেষে ক্লান্ত শরীরে কোনও রকমে এসে বিছানায় নিজের শরীরটা এলিয়ে দেন। কোনও রকমে মুখে জলের ছিটে দিলেও ভাল করে মুখ পরিষ্কারটুকুও হয় না। জানেন কি, কত বড় ভুল করছেন? সারাদিনের এই দূষণ, ধুলোবালি থেকে ত্বকের উপর যে অত্যাচার হয় তার ক্ষতিপূরণ হয় রাতে। ত্বকের জন্যও পর্যাপ্ত বিশ্রামের প্রয়োজন হয়। ত্বকের মধ্যে দিয়ে বায়ু চলাচল সবথেকে ভাল হয় রাতে। আর বায়ু চলাচল ভাল হলে তবেই কিন্তু রক্ত সঞ্চালন ঠিক থাকে। মুখের ক্লান্তিভাব দূর হয়। কিন্তু মুখ যদি ভাল করে না ধোয়া হয় তাহলে দিনের পর দিন এই নোংরার পরত মুখে পড়তে থাকে। ফলে ত্বক কুঁচকে যাওয়া, এজিং, বলিরেখা সময়ের আগেই আসে।
তাই রাতে প্রথমেই যা করবেন তা হল মেকআপ তুলে ফেলতেই হবে। মেকআপ ত্বকে বসলেই সেখান থেকে আসে ব্রণর সমস্যা। এছাড়াও ত্বক রুক্ষ্ম হয়ে যায়। ত্বকে তৈলাক্ত ভাব বেড়ে যায়। ত্বক যত বেশি তৈলাক্ত হবে ততি কিন্তু সমস্যা বাড়বে। সেই সঙ্গে দেখতেও বাজে লাগে। তাই মেকআপ রিমুভার বা ক্লিনজিং মিল্ক ব্যবহার করে অতিরিক্ত মেকআপ তুলে দিন।
আরও যা কিছু মেনে চলবেন-
মুখ প্রথমে ভাল কোনও ফেসওয়াশ দিয়ে ধুয়ে নিন। এরপর ওটস, মধু আর কাঁচা দুধ মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে রাখুন। ওই প্যাক মুখে লাগিয়ে রাখুন ১০ মিনিট। এবার খুব হালকা গরম জলে মুখ ধুয়ে নিন। শেষে টোনার স্প্রে করে নিন।
আবার পেসওয়াশ না লাগিয়ে সরাসরি চালের গুঁড়ো, কফির গুঁড়ো, চিনি আর দুধ একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে নিন। বাইরে থেকে বাড়িতে ফিরে এই প্যাক মুখে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। এরপর তা ধুয়ে নিয়ে কোনও বেবি ক্রিম লাগিয়ে নিতে পারেন।
যদি খুব বেশি ব্রণর সমস্যা থাকে তাহলে রাতে মুখ পরিষ্কার করে চন্দনবাটা লাগিয়ে নিন। নইলে রোজ বা অরেঞ্জ ওয়াটার স্প্রে করে নিন।
রাতে মুখ পরিষ্কার করে নাইটক্রিম ব্যবহার করতে পারলে সবচেয়ে ভাল। নইলে মুখ ধুয়ে ওয়াইপস দিয়ে ভাল করে মুছে নিন। এতেও কিন্তু ভাল কাজ হয়।