বাঙালির বারোমাসে ১৩ পার্বণ। দুর্গাপুজো থেকেই শুরু হয়ে যায় সেই উৎসবের মরশুম। লক্ষ্মীপুজো, কালীপুজো, ভাইফোঁটার পর্ব মিটলেই আসে বিয়েরবাড়ুর মরশুম। বাঙালির মধুমাস। মধ্যিখানে জগদ্ধাত্রী পুজো থাকলেও এখন বাংলার সর্বত্র এই পুজো হয় না। অঘ্রাণ মাসেই সবচেয়ে বেশি হয় বিয়ের অনুষ্ঠান। আর তাই বিয়েবাড়ির প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে। বিয়ে নিয়ে সব মেয়ের মনেই অনেক স্বপ্ন থাকে। বিয়ের দিনের শাড়ি, সাজগোজ, মেকআপ প্রস্তুতি চলতে থাকে দীর্ঘদিন ধরে। সব মেয়েই চান বিয়ের দিন তাঁকে যেন সবচাইতে সুন্দর লাগে। কিন্তু বিয়ের আগে এত পরিশ্রম, এত চাপ থাকে যে ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য তেমন সময় পাওয়া যায় না। তবে ত্বকে যদি ট্যান পড়ে যায় বা ব্রণ থাকে তাহলে বিয়ের দিনে মোটেই দেখতে ভাল লাগে না। সেই সঙ্গে মেকআপ করতেও সমস্যা হয়। আর তাই মেনে চলতে পারেন এই সব ঘরোয়া টোটকা।
ব্রণ আর অ্যাকনের সমস্যা সবচাইতে বেশি সমস্যায় ফেলে। আর তাই ব্রণর সমস্যা হলে আগে থেকেই ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। সেই সঙ্গে রোজকার খাওয়া দাওয়ার দিকেও অবশ্যই নজর দিন। বাইরের খাবার, তেল মশলাদার খাবার একেবারেই চলবে না। জল খান প্রচুর পরিমাণে। তেল-মশলাদার খাবার বেশি খেলে, পেট পরিষ্কার না হলে এবং নিয়মিত অ্যাসিড হলে আরও করে ব্রণর সমস্যা জাঁকিয়ে বসে। দিনের শুরুতে অন্তত ২ গ্লাস ইষদুষ্ণ জল খান।
হাতে, মুখে ট্যান পড়ে যাওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। যাঁরা নিয়মিত ভাবে বাইরে বেরো, অফিস যান তাঁদের এই ট্যান পড়ে যাওয়ার ঘটনা খুবই স্বাভাবিক। সানস্ক্রিন মাখলেই যে সব সময় ট্যানিং আটকে দেওয়া যায় এরকমও নয়। আর তাই নিয়মিত ভাবে আলুর রস, টমেটোর রস আর লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগালেও সেই সমস্যার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়। এছাড়াও শসা আর টমেটোর রস একসঙ্গে মিশিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। রোজ রাতে লাগালে উপকার পাবেন।
বিয়ের আগে কাজের চাপ, টেনশনে ঘুম কম হয়। ফলে চোখের নীচে ডার্ক সার্কল পড়ে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক। বিয়ের দিন মেকআপে সেই ডার্ক সার্কল ঢাকা গেলেও তা দেখতে মোটেই ভাল লাগে না। মুখ শুকনো লাগে। তাই আন্ডার আই জেল ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও দিনের মধ্যে অন্তত ৮ ঘন্টা ঘুম খুবই জরুরি।
আন্ডার আর্মসে কালো ছোপ পড়লে দেখতে মোটেই ভাল লাগে না। তাই লেবুর রসের সঙ্গে নারকেল তেল মিশিয়ে নিয়মিত লাগাতে পারলে উপকার পাবেন।