Skin Care Tips: ত্বকের যত্নে অলরাউন্ডার! গোলাপ জল আর তুলোর বল কোন কোন উপায়ে সেরা, জানুন
Skin Benefits: মধ্যবিত্ত পরিবারের অনেকেই ত্বকের যত্নের সময় তুলোর বলে অল্প পরিমানে গোলাপ জল নিয়ে গোটা মুখের ব্যবহার করেন। আপনিও কি তাই করেন?
গোলাপ জলের (Rose Water) নাম শুনলেই একটু বিলাসিতা অনেকেরই কাছে। রান্নায় স্বাদ আনতে যেতে তেল যথেষ্ট ব্যবহার করা হয়। গোলাপ জল হল গোলাপ তেলের (Rose Oil) একটি বিকল্প ব্যবস্থা। গোলাপের ব্যবহারের আরেকটি জনপ্রিয় উপায়। ত্বকের যত্নে (skin Care) গোলাপজল অত্যন্ত উপকারে লাগে। মধ্যবিত্ত পরিবারের অনেকেই ত্বকের যত্নের সময় তুলোর বলে অল্প পরিমানে গোলাপ জল নিয়ে গোটা মুখের ব্যবহার করেন। আপনি কি তাই করেন? ত্বকের জন্য এই দুটি উপাদান কতটা অপরিহার্য ও উপকারে লাগে, তা এখানে জেনে নিন…
– গোলাপ জল ত্বকের প্রাকৃতিক পিএইচ ব্যালেন্স বজায় রাখতে সাহায্য করে। বিভিন্ন রাসায়নিক সাবান, সেই সঙ্গে ক্লিনজার আমাদের ত্বকের পিএইচ ভারসাম্যকে পরিবর্তন করে। এতে ত্বকে ফুসকুড়ি বা ব্রণের মত সমস্যা সৃষ্টিকারী মাইক্রোবিয়াল প্রজাতির জন্য আরও ঝুঁকিপূ্ণ করে তোলে। মেকআপ বা অন্যান্য রাসায়নিক পণ্য দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকের পিএইচ মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করতে গোলাপ জলের বিশেষ অবদান রয়েছে।
– গোলাপ জল ত্বকের প্রদাহজনিত রোগ থেকে মুক্তি দেয়। একজিমা ও সোরিয়াসিসের মত ত্বকের অবস্থার জন্য গোলাপ জল অনেক কার্যকর। এইভাবেএই রোগগুলির দ্বারা প্ররোচিত ত্বকের জ্বালা উপশম করতে সাহায্য করে বিশুদ্ধ গোলাপ জল।
-গোলাপ জলে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-সেপটিক বৈশিষ্ট্য। অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট বা সংক্রমণকে দূরে রাখতে সাহায্য করে. চোখের পাতায় অ্যালার্জি হলে গোলাপ জল ব্যবহার করে জলের দিয়ে ধুয়ে ফেললে আরাম পেতে পারেন। যখন চোখের সবচেয়ে সূক্ষ্ম অঞ্চলে এটি ব্যবহার করছেন, যা কণা এবং রোগের জন্যও সূক্ষ্ম, তখন একেবারে নিশ্চিত করুন যে আপনি প্রাকৃতিক গোলাপ জল ব্যবহার করছেন, তাতে কোনও ওপিওড অ্যাগোনিস্ট নেই। গোলাপ জল চোখের জ্বালা এবং ফোলাভাব কমায়। ধুলো এবং বায়ু দূষণের পাশাপাশি সৌন্দর্যের জন্য বিষাক্ত উপাদান থেকে চোখকে রক্ষা করে।
– টোনিং হল স্কিন কেয়ার রুটিনের একটি অপরিহার্য অংশ। গোসাপ জল সত্যিই একটি গুরুত্বপূর্ণ টোনারষ এতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। ত্বকের ছিদ্র থেকে ময়লা অপসারণের জন্য একটি টোনারের প্রয়োজন হয়। এটি শুধুমাত্র মুখ পরিস্কার করবে তাই নয়, ত্বকের স্বাস্থ্যকর পিএইচ ভারসাম্য রক্ষা করতেও সাহায্য করে। একটি তুলোর বল পাতলা করে তাতে গোলাপজল দিন। এবার দিনে কয়েকবার ত্বক মুছে নিয়ে ত্বককে রাখুন নরম ও পরিস্কার।
– ময়েশ্চারাইজার হিসেবেও গোলাপ জল অত্যন্ত উপকারী, অনেকেই হয়তো জানেন না গোলাপ জলও ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। ৬ টেবিলস্পুন গোলাপ জল, ২ টেবিলস্পুন নারকেল তেল ও ২ টেবিলস্পুন গ্লিসারিন একসঙ্গে মিশিয়ে একটি পরিস্কার বোতলে রেখে দিন। রোজ স্বাভাবিক নিয়মে এই ভেষজ ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন। দিনে এক থেকে দুইবার ব্যবহার করা যেতে পারে। এই প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার আপনার ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করবে।