যে কোনও ভারতীয় বাড়িতেই প্রচলিত রয়েছে এই মিথ। ছোটবেলায় একবার সব বাচ্চাকে ন্যাড়া করে দেন মা-বাবারা। কারোর থাকে মানসিক আবার কেউ বলেন প্রথম চুল ভগবানকে দান করতে হয়। মাথা ন্যাড়া করলে আরও ঘন চুল গজায়। তাই ঘন চুলের আশাতে অনেকে একাধিকবারও মাথা মুড়িয়ে ফেলেন। যদিও এই ধারণার সঠিক কোনও ভিত্তি পাওয়া যায়নি
আজাকাল অধিকাংশেরই চুল পাতলা। চুলের ঘনত্ব কমতে থাকে। বিশেষ করে এই সমস্যা সবচেয়ে বেশি হয় ছেলেদের ক্ষেত্রে। এর নেপথ্য কারণ হিসেবে অনেক কিছুই থাকে। চুলে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টির অভাব থেকে শুরু করে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা এর জন্য দায়ী হতে পারে।
চুল পাতলা হতে শুরু করলে বা টাক পড়লে অনেকেই হীনমন্যতায় ভোগেন। অনেকের ক্ষেত্রে এই টচাক হল জিনগত সমস্যা। এরকম হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। চুল কামিয়ে ফেললেই যে নতুন করে ঘন চুল গজাবে এমন কিন্তু নয়। অর্থাৎ বিজ্ঞান তার প্রমাণ পায়নি।
চুল পুরো ছেঁটে দেওয়ার পর যখন নতুন চুল গজায় তখন সেই ছোট কালো চুলের ঘনত্ব দেখে অনেকেরই মনে হয় যে এবার ভাল চুল গজাবে। চুলে হাত দিয়ে তেমনটা মনে হলেও বাস্তবে এমন হয় না।
চুল যত বড় হয় ততই বোঝা যায় যে আমাদের এই ধারণা আদতে কতটা ভুল ছিল। চুল বড় হলে চুলের ঘনত্ব কমতে থাকে। এর মূল কারণ হল মাথার ত্বকের গোড়াগুলি শুকিয়ে যায়। সেখান থেকে আর নতুন করে চুল গজায় না।
তবে যাঁদের অকারণে চুল ঝরে যায় তাঁরা ন্যাড়া হলে কিছুটা সুবিধে পাবেন। কারণ ন্যাড়া হওয়ার পর যে চুল গজায় তা সহজে ঝরে যায় না। চুলের যাবতীয় কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট থেকে দূরে থাকুন। সুষম খাবার খান। চুলে তেল, শ্যাম্পু লাগান। তাহলেই কাজ হবে।