Jalpaiguri: চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ, হাসপাতালে মৃত্যু ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর

Jalpaiguri: মৃতের নাম মন্দিরা বোস (৬৪)। তিনি ময়নাগুড়ির বিবেকানন্দ পল্লীর বাসিন্দা। ডায়রিয়াতে আক্রান্ত হওয়ায় শনিবার সকাল নয়টা নাগাদ তাঁকে ময়নাগুড়ি হাসপাতালে পায়খানা ও জ্বর নিয়ে ভর্তি করে পরিবারের লোকজন। অভিযোগ, প্রথম দিকে দীর্ঘক্ষণ রোগীকে কোনও চিকিৎসক দেখেননি।

Jalpaiguri: চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ, হাসপাতালে মৃত্যু ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর
জলপাইগুড়িতে মৃত্যু রোগীরImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 29, 2024 | 10:42 PM

ময়নাগুড়ি: ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন এক বৃদ্ধা। তাঁকে চিকিৎসার জন্য মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করতে চেয়েছিল পরিবার। অভিযোগ, তাঁকে রেফার না করে ১৯ ঘণ্টা অবজারভেশন ওয়ার্ডে ফেলে রাখা হয় বলে অভিযোগ। এরপরই মৃত্যু হয় বৃদ্ধার। ঘটনায় চিকিৎসকের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়ে পরিবার। ঘটনায় উত্তেজনা ময়নাগুড়ি হাসপাতালে।

মৃতের নাম মন্দিরা বোস (৬৪)। তিনি ময়নাগুড়ির বিবেকানন্দ পল্লীর বাসিন্দা। ডায়রিয়াতে আক্রান্ত হওয়ায় শনিবার সকাল নয়টা নাগাদ তাঁকে ময়নাগুড়ি হাসপাতালে পায়খানা ও জ্বর নিয়ে ভর্তি করে পরিবারের লোকজন। অভিযোগ, প্রথম দিকে দীর্ঘক্ষণ রোগীকে কোনও চিকিৎসক দেখেননি। পরবর্তীতে অবজারভেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসক দেখার পর ওষুধ দিলে তাঁরা রোগীকে বাড়ি নিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু পরিবারের সদস্যরা জলপাইগুড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য রেফার চাইলে তাদের দেওয়া হয়নি বলে দাবি মৃতের পরিবারের। ফলত, পরিবারের তরফে রোগীকে হাসপাতালেই রেখে দেওয়া হয়। রবিবার ভোর রাতে গ্রামীণ হাসপাতালেই মৃত্যু হয় সেই রোগীর। আর এরপরেই হাসপাতালে চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তোলেন রোগীর পরিজনরা।

ভোর থেকেই পরিবার সহ আত্মীয় পরিজনরা হাসপাতালে এসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় আইসি সুবল ঘোষের নেতৃত্বে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ। তাঁরা এসে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। এই বিষয়ে চিকিৎসায় কোনও গাফিলতি রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ময়নাগুড়ি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সিতেশ বর।

মৃতের মেয়ে বাসবী সোম বলেন, “ডায়রিয়া হলে সাধারণত আমরা এখানেই দেখাতে আসি। জলপাইগুড়ি যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। ডাক্তার বলছে বাড়ি নিয়ে যান ভাল আছে। আমরা তো ডাক্তারের উপরে যাব না। চিকিৎসকের গাফিলতির জন্যই আমার মায়ের মৃত্যু হয়েছে।”