আগে ত্বক পরিষ্কার করা হয়, তারপর তাকে ভাল করে টোনিং করা হয়। একটি অ্যাস্ট্রিনজেন্ট ত্বককে টোন করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি ত্বকের তৈলাক্ত ভাব কমায় এবং ছিদ্র বন্ধ করতে সাহায্য করে। অ্যাস্ট্রিনজেন্ট তৈলাক্ত ত্বকের জন্য উপকারী। টোনার এবং অ্যাস্ট্রিনজেন্ট উভয়ই ত্বকের পৃষ্ঠে রক্ত সঞ্চালনের পরিমাণ উন্নত করে এবং ত্বকে এক ধরণের উজ্জ্বলতা যোগ করতে সাহায্য করে।
গোলাপ বা ল্যাভেন্ডার ভিত্তিক ত্বকের টোনারগুলি ভাল। কারণ এদের মধ্যে একটা রিফ্রেশিং ফিচার উপস্থিত থাকে। রোজ ওয়াটার ত্বকের অন্যতম পরিচিত টনিক এবং সহজেই পাওয়া যায়। আপনার ফ্রিজে একটি বাটিতে অল্প গোলাপ জল রাখুন। যখন এটি ঠান্ডা হয়, এটি কেবল খুব বেশি পরিমাণে রিফ্রেশিংই থাকে না, বরং ত্বকের ছিদ্রগুলি বন্ধ করতেও খুব কার্যকর হয়।
শশার মতো কিছু প্রাকৃতিক উপাদানেরও ত্বকের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে একটি গভীর প্রভাব রয়েছে। আপনি নিজে থেকেই শশার রস মুখে লাগাতে পারেন এবং ১৫ মিনিট পর সাধারণ উষ্ণতার জল দিয়ে তা ধুয়ে ফেলতে পারেন। আপনি একটু গোলাপ জলের সঙ্গে শশার রসও মিশিয়ে নিতে পারেন। এটি একটি ভাল অ্যাস্ট্রিনজেন্ট টোনার হিসেবে কাজ করবে। এটিকেও একইভাবে মুখে লাগান এবং ১৫ মিনিট পরে সাধারণ উষ্ণতার জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য গোলাপ জল এবং লেবুর রস সমপরিমাণে মিশিয়ে ব্যবহার করলে খুব ভাল ফল পাওয়া যায়। মুখ আগে ভাল করে পরিষ্কার করে নিন, তারপর এটি মুখে লাগান। ১০ মিনিট পরে সাধারণ উষ্ণতার জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
আপেল কষিয়ে মুখে লাগাতে পারেন। এটি ত্বককে টোন করতে সাহায্য করে। ২০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন।
গ্রিন টি একটি চমৎকার স্কিন টোনার হিসেবে কাজ করে। তাছাড়া সব ধরনের ত্বকের জন্য গ্রিন টি উপযুক্ত। সবুজ চা পাতা গরম জলে আধ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। এরপর সেটিকে ঠাণ্ডা করে নিয়ে ত্বককে টোন করার জন্য ব্যবহার করুন।
ম্যাসড কলা এবং এপ্রিকট পাল্প প্রাকৃতিক অ্যাস্ট্রিনজেন্ট। এরা ত্বকের ছিদ্র বন্ধ করতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। এগুলি সমস্ত ধরণের ত্বকের জন্য উপযুক্ত। টমেটোর রসকেও তৈলাক্ত ত্বকে প্রয়োগ করা যেতে পারে।
কমলালেবুর খোসা রোদে শুকিয়ে নিন। তারপর একে গুঁড়ো করে ফেস মাস্কে যোগ করুন। এরা ত্বকের ছিদ্রগুলি বন্ধ করে এবং তাদের আরও শক্ত করে।
ত্বক ফর্সা করার জন্য, একটা ছোটরকম চৌকো তুলার উল প্যাড তৈরি করুন। ত্বক পরিষ্কার করার পরে, ত্বকের টনিক দিয়ে তুলার উল প্যাডটি ভিজিয়ে রাখুন। তারপরে সেটা দিয়ে ত্বক ভাল ভাবে মুছে নিন। এরপরে, ত্বককে খুব যত্ন সহকারে অল্প চাপ দিয়ে মালিশ করতে থাকুন। এতে আপনার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে, যা ত্বকের উজ্জ্বলতার জন্য দায়ী থাকবে। গালের উঁচু পৃষ্ঠগুলিতে আলাদা করে চাপ প্রয়োগ করবেন।
আরও পড়ুন: শুষ্ক ত্বককে হাইড্রেট করতে ভিটামিন-ই মোক্ষম দাওয়াই! বাড়িতেই বানান উপকারী ফেস ক্রিম