চুল পড়া একটি খুব সাধারণ সমস্যা। জিনগত, হরমোনের পরিবর্তন, মানসিক চাপ, উদ্বেগ, অযত্ন, পুষ্টির ঘাটতি ইত্যাদির কারণে অকালেই চুল পড়তে দেখা যায়। বর্ষায় আর্দ্রতায় সেই সমস্যা আরও দ্বিগুণ হয়ে যায়। ভারতীয় আমিষ রান্নায় পেঁয়াজের ব্যবহার থাকবেই। তাই প্রতিটি হেঁসেলে পেয়াজ যে মজুত থাকবে, তা বলাই বাহুল্য। মজার বিষয় হল, এই পেঁয়াজের রস ব্যবহার করলে চুল পড়া প্রতিরোধ করা যায়। ফের নতুন করে চুল গজাতে ও বৃদ্ধিতেও পেঁয়াজের গুণ অপরিসীম।
পেঁয়াজের মধ্যে রয়েছে ডায়াটারি সালফার যা চুল পুনরায় গজতে সাহায্য করে। সালফার হল খুব প্রচলিত একটি মিনারেল। পেঁয়াজের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদানও। এটি স্ক্যাল্পের সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। পেঁয়াজে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, যা শরীরের ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিকেল দূর করতে সহায়ক। ফ্রি র্যাডিকেল চুলের ফলিকলগুলোকে ধ্বংস করে এবং চুল পাতলা করে দেয়। এছাড়া খুসকি, শুষ্কতা হঠাতেও পেঁয়াজ খুবই উপকারী।
আরও পড়ুন: ৬ দিনে ৬ গুণে ভরা স্ট্রবেরিতেই হবে ঝলমলে ত্বক!
অনিয়ন জুস হেয়ার মাস্ক
৩-৫ টেবিলস্পুন পেঁয়াজের রস ও ২ টেবিলস্পুন অলিভ ওয়েল মিশিয়ে একটি দুর্দান্ত হেয়ার মাস্ক তৈরি করতে পারেন। মিশ্রণটি গোটা স্ক্যাল্পে লাগিয়ে আলতো ছোঁয়ায় মাসাজ করুন। ২ ঘন্টা পর শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার দিয়ে চুল পরিস্কার করে নিতে পারেন। এই হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করলে স্ক্যাল্পের রক্ত সঞ্চালনে উন্নতি হয়, হেয়ার ফলিকলসগুলি শক্তিশালী হয়। এছাড়া চুলের বৃদ্ধিতেও এই হেয়ার মাস্ক বেশ উপকারী।
অনিয়ন হেয়ার ওয়েল
মোলায়েম চুলের জন্য, পাকা চুল হঠাতে ও পাতলা চুলের সমস্যা দূর করতে পেঁয়াজের তেল বেশ উপকারী। ৩ টেবিলস্পুন পেঁয়াজের রস ও ২ টেবিলস্পুন নারকেল তেল মিশিয়ে অল্প আঁচে ৩-৫ মিনিট গরম করে নিন। ঠান্ডা হলে মাথার স্ক্যাল্পে লাগান। খুব ধীরে ধীরে মাসাজ করুন। ৩ ঘন্টা অপেক্ষা করার পর শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিস্কার করে নিন।
প্রাকৃতিক ভাবে চুলের যত্ন নিতে হলে, পেঁয়াজের রস ও তেল দুইটোই ব্যবহার করতে পারেন। তাতে নিয়মিত চুলের যত্নও হবে, আপনার সমস্যাও চিরদিনের মতো উধাও হবে।