স্নানের সময় স্ক্রাব করা কিন্তু ত্বকের পক্ষে খুবই উপকারি। আর যদি এই স্ক্রাব করা হয় ‘ড্রাই ব্রাশ’- এর সাহায্যে, তাহলে আপনার ত্বকের অনেক সমস্যাই দূর হতে পারে। ট্যানের সমস্যা দূর হয়। নরম, মোলায়েম হবে আপনার ত্বক। শুধু হাত-পা নয়, সারা শরীরেই স্ক্রাব করা প্রয়োজন। মুখেও আলাদা করে প্যাক লাগিয়ে স্ক্রাব করতে পারেন আপনি। আর স্ক্রাব করার সময় যদি সামান্য অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন, তাহলে আপনার ত্বক খুবই নরম এবং মোলায়েম হয়ে যাবে।
‘ড্রাই ব্রাশ স্ক্রাবিং’- এর সাহায্যে ত্বকের কী উপকার হয়?
১। এক্সফোলিয়েট স্কিন- আপনার ত্বকের মরা কোষ সরে গেলে তবেই ফিরবে ঔজ্জ্বল্য। তাই ড্রাই ব্রাশ দিয়ে স্ক্রাব করলে আপনার স্কিনের এক্সফোলিয়েশন হয়। অর্থাৎ মরা কোষ সরে যায়। এর জেরে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ফেরে।
২। রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়- ড্রাই ব্রাশ দিয়ে স্ক্রাব করলে আপনার শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। এর ফলে ত্বক ভাল থাকে। বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়।
৩। ত্বকের অতিরিক্ত তেল জাতীয় উপাদান এবং অন্যান্য ময়লা তুলে ফেলা সম্ভব স্ক্রাবিংয়ের মাধ্যমে। তবে এক্ষেত্রে হাল্কা হাতে ব্রাশ ব্যবহার করবেন। জোরে ঘষলে ত্বকের ক্ষতি হবে। ত্বক খসখসে হয়ে যেতে পারে।
স্ক্রাবিংয়ের পর কী কী করবেন?
১। অতি অবশ্যই স্কিন ময়শ্চারাইজ করুন। স্নানের আগে স্ক্রাব করুন। আর স্নানের পর ক্রিম লাগাবেন। ত্বক ময়শ্চারাইজ করা ভীষণ ভাবে প্রয়োজন। নাহলে স্ক্রাবিংয়ের পর ত্বক রুক্ষ এবং শুষ্ক হতে যেতে পারে।
২। অতি অবশ্যই স্ক্রাব করার সময় তেল ব্যবহার করুন। ঘরোয়া পদ্ধতিতে যদি কোনও প্যাক বা স্ক্রাবার তৈরি করে স্ক্রাব করেন, তাহলে তার সঙ্গে সামান্য অলিভ অয়েল বা মধু মিশিয়ে নিতে পারেন।
আরও পড়ুন- ক্ষতিগ্রস্ত ত্বককে পুনর্জীবিত করতে ভরসা রাখুন আয়ুর্বেদে!
৩। নরম ব্রাশ ব্যবহার করবেন। নাহলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। আর স্ক্রাব করার সময় আলতো হাতে চামড়ার উপর ব্রাশ বুলিয়ে নিন। গায়ের জোরে ঘষবেন না। এর ফলে স্কিনের ক্ষতি হবে।