গত এক-দুই বছরে ত্বকের পরিচর্চায় ঘটে গিয়েছে অনেক পরিবর্তন। নিয়মিত ত্বকের দেখভালের উপায় ও পদ্ধতি শেয়ার করছেন সোশ্যাল মিডিয়ার ইনফ্লুয়েন্সার, ব্লগাররা। কেউ ব্রণ দূর করতে রাসায়নিক-যুক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার করে ভিডিয়ো করছেন, কেউ বা মুখের মধ্যে কালো দা তোলার ঘরোয়া উপায় বাতলাচ্ছেন। সকলেরই একটাই বক্তব্য, প্রাকৃতিকভাবে ত্বকের পরিচর্চা করলে তবেই মিলবে সুফল।
হলুদ, মুলতানি পাউডারের মতো প্রাকৃতিক উপকরণের কথাও উঠে এসেছে। রোজকার ত্বক পরিচর্চার জন্য আয়ুর্বেদের একটি বড় অংশ কাজ করে চলেছে বহু যুগ ধরে। আধুনিক গবেষণাতেও ত্বকের জন্য আয়ুর্বেদের নানান উপকরণের গুণাবলীর কথা স্বীকার করা হয়েছে। বাজারজাত, কম দামি আয়ুর্বেদিক উপাদান ব্যবহারের ফলে অন্যান্য সব পণ্যের থেকে অনেক বেশি কার্যকরী বলে মান্য করা হয়। ত্বকের যে কোনও সমস্যা হলে প্রথরমে হার্বস ও প্রাকৃতিক উপকরণ ব্যবহার করার কথা জানাচ্ছেন গবেষকরা। কারণ প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারের ফলে শুধু বাইরের নয়, ভিতর থেকে সমস্যার সমাধান সম্ভব হয়। ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকে ফের উজ্জ্বলতা ও সুস্থ করে তুলতে কিছু উপকারী টিপস দেওয়া হল, ট্রাই করতে পারেন নিঃসন্দেহে।
যখন আপনার ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়
ক্ষতিগ্রস্ত ত্বককে ফের সতেজ ও সুস্থ করে তুলতে ব্যবহার করুন হদলি বা হলুদ। এতে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমাটরি ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। দইয়ের সঙ্গে এক চিমটে হলুদ গুঁড়ো নিয়ে গোটা মুখে লাগান। হাতে ও গলাতেও ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে গেলে শুধু কুমকুমাদি তাইলাম তেল ব্যবহার করুন। ঘুমাতে যাওয়ার আগে কয়েক ফোঁটা তেল নিয়ে মুখে ও হাতে মাসাজ করুন। ফল মিলবে দ্রুত।
ত্বকের ব্রণ ও কালো দাগ হলে
ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকের সমস্যা নির্মূল করতে হলে ভরসা রাখুন প্রাকৃতিক উপাদানের উপর।, মুখের মধ্যে ব্রণ ও কালো ছোপ দেখা দিলে নিম পাতা ব্যবহার করুন। সুস্থ ত্বক পেতে নিমাপাতার ফেসমাস্ক ব্যবহার করতে পারেন, নাহলে খালি পেটে নিমপাতার রস বা বাটা খেতে পারেন। এছাড়া রোজ সকালে নিমপাতা ভেজানো গরম জল খেতে পারেন। ত্বকে ব্রণ, কালো দাগদূর তো হবেই, সতেজ ও উজ্জ্বলতাও বাড়বে।