Winter Hair Care: শীত এলেই চুলের হাজারো সমস্যা দেখা দেয়। শুষ্ক আবহাওয়ায় চুলও নিস্তেজ দেখায়। ঠান্ডায় চুলের জেল্লা হারিয়ে যায়। এছাড়াও দেখা দেয় খুশকির সমস্যা। আসলে শীতের শুষ্ক আবহাওয়া চুলের আর্দ্রতা কেড়ে নেয়। এতে চুলের উজ্জ্বলতা হারিয়ে যায়। আর্দ্রভাবের অভাবের কারণে খুশকি, স্প্লিট এন্ডের সমস্যাও বাড়ে। এছাড়াও শীতে বেশিরভাগ মানুষ গরম জলে স্নান করে। গরম জল মারাত্মক ভাবে চুলের ক্ষতি করে। আবার শীতে তাড়াতাড়ি চুল শুকনো করলে ব্লো ড্রাই করেন কিংবা ড্রায়ার ব্যবহার করেন। এতেও চুলের ক্ষতি হয়। চুল যত বেশি গরম বা হিটের সংস্পর্শে আসবে, চুল নষ্ট হতে থাকবে।
শীতে চুলের যত্ন নেওয়া অনেক উপায় রয়েছে। কিন্তু কোন পদ্ধতি আপনার চুলের জন্য সেরা সেটা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গিয়েছে। তবে আয়ুর্বেদের কথা মেনে চললে, চুলের হাল ফিরতে পারে। প্রাচীনকাল থেকে ভারতে আয়ুর্বেদিক উপায় ব্যবহার হয়ে আসছে। প্রাকৃতিক উপাদানের সাহায্য নিয়ে ত্বক, চুল, শরীরের যত্ন নিলে খুব একটা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায় না। আর শীতের মরশুমে যখনই চুলের যত্ন নেওয়ার প্রসঙ্গ আসে তখন আয়ুর্বেদ তেল মালিশের পরামর্শ দেয়।
আয়ুর্বেদের মতে, চুলের যত্ন নিতে গেলে গরম তেল মালিশ খুব জরুরি। এটি স্ক্যাল্পের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে, চুলকে পুষ্টি জোগায়, খুশকির সমস্যা দূর করে, চুলের হারানো দীপ্তি ফিরিয়ে আনে। তবে আয়ুর্বেদে তেল মালিশেরও কিছু নিয়ম রয়েছে। কীভাবে চুলে তেল দেবেন, দেখে নিন…
চুলে তেল মালিশের জন্য আপনি বাদাম তেল, তিলের তেল, নারকেল তেল এবং আর্গান তেল বেছে নিতে পারেন। সরাসরি তেল গরম করবেন না। এতে তেলের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। ডবল বয়লার পদ্ধতিতে তেল গরম করুন। তেল গরম করার সময় কোনও প্লাস্টিকের পাত্র ব্যবহার করবেন না। কাঁচ কিংবা স্টিলের তৈরি পাত্র ব্যবহার করুন।
আপনার চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী তেল নেবেন। চুলে তেল মালিশের আগে চুলের জট ছাড়িয়ে নিন। চুল দুটো ভাগে ভাগ করে নিন। এরপর চুলে তেল মালিশ করুন। খুব বেশি চাপ দিয়ে তেল মালিশ করবেন না। চুলে তেল মালিশ হয়ে গেলে চুলে বেঁধে নিন এবং একটি শাওয়ার ক্যাপ পরে নিন। এভাবে ৩০ মিনিট বসে থাকুন। এতে আপনার চুলের হারিয়ে যাওয়া আর্দ্রভাব ফিরে আসবে। আধ ঘণ্টা পর ভেষজ শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল ধুয়ে ফেলুন। তারপর কন্ডিশনার লাগিয়ে নিন। এতে আপনি ঝলমলে চুল পেয়ে যাবেন।