Stale Rotis: বাসি রুটি দিয়ে রূপচর্চা- শুনতে অদ্ভুত লাগলেও এটাই সত্যি। বেশির ভাগ বাঙালির ঘরে রাতের একটা-দু’টো রুটি বেশি হয়েই যায়। কেউ কেউ সেই রুটি পরদিন সকালে চায়ে ডুবিয়ে খেয়ে নেন, আবার অনেকে ফেলে দেন। অন্নকে পায়ে ঠেলতে নেই। এবার থেকে একটা বাসি রুটি বেশি হয়ে গেলে আর ফেলবেন না। ওই রুটিকে কাজে লাগিয়ে নিন রূপচর্চায় (Beauty Tips)। কীভাবে সম্ভব ভাবছেন? সেটাও জানিয়ে দেব আমরা। গরমে ত্বকের (Summer Skin Care) নানা সমস্যা দেখা দেয়। ত্বকে বেড়ে যায় তেলতেলে ভাব। এর সঙ্গে র্যাশ, ব্রণ, ফুসকুড়ির সমস্যা রয়েছে। এর পাশাপাশি মরা চামড়ার কারণে ত্বক নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এই সব সমস্যা দূর করে রুটির তৈরি ফেসপ্যাক ও স্ক্রাব।
এখানেও রয়েছে টুইস্ট ফেসপ্যাক ও স্ক্রাবকে আপনাকে আলাদা ভাবে তৈরি করার প্রয়োজন নেই। বাসি রুটি দিয়ে যেটি তৈরি করবেন সেটাই ফেসপ্যাক ও স্ক্রাব হিসেবে আপনার ত্বকে কাজ করবে। অর্থাৎ টু-ইন-ওয়ান। ত্বককে সুন্দর রাখার ক্ষেত্রে ঘরোয়া প্রতিকারের কোনও তুলনা হয় না। একই ভাবে রুটিও স্ক্রাব তৈরিতে ভীষণ ভাবে কার্যকরী। অনেকেই রয়েছেন যাঁরা খুব বেশি প্রসাধনী পণ্য ব্যবহার করেন না। আবার সময়ও পান না প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে প্রতিদিন রূপচর্চার জিনিস তৈরি করতে। এই ক্ষেত্রে সপ্তাহে একদিন বাসি রুটি দিয়ে রূপচর্চা সেরে ফেলুন। দেখবেন এক মাসের মধ্যে পেয়ে গিয়েছেন ঝকঝকে ত্বক।
কীভাবে বাসি রুটি দিয়ে ফেসপ্যাক কাম স্ক্রাব তৈরি করবেন, দেখে নিন-
এই স্ক্রাব তৈরির জন্য প্রয়োজন দুটো বাসি রুটি, দু চামচ ওটস, দু চামচ দুধের সর, চার চামচ গোলাপ জল আর এক চিমটে হলুদ। প্রথমে বাসি রুটিকে ছিড়ে টুকরো টুকরো করে নিন। তারপর সেটা মিক্সারে দিয়ে গুঁড়ো করে নিন। একই পদ্ধতিতে ওটসটাও গুঁড়ো করে নিন। এবার এই রুটি ও ওটসের গুঁড়ো একসঙ্গে মিশিয়ে দিন। এবার এতে দুধের সর, গোলাপ জল আর হলুদ যোগ করুন। ভাল করে উপাদানগুলোকে একে অপরের সঙ্গে মিশিয়ে নিন।
এবার এই ফেসপ্যাকটি মুখে লাগিয়ে নিন। সারা মুখে সমান ভাবে ফেসপ্যাক লাগাবেন। এরপর অন্তত ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে ভিজে হাতে মুখে স্ক্রাব করুন। বেশি চাপ দেবেন না ত্বকের ওপর। আলতো হাতে স্ক্রাব করুন। ৩-৫ মিনিট স্ক্রাব করার পর জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এরপর হালকা কোনও ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। এক মাস এই ফেসপ্যাক কাম স্ক্রাব ব্যবহার করতে দেখুন। আপনার উজ্জ্বল ত্বকের থেকে কেউ মুখ ফেরাতে পারবে না।