ভেগানের ডায়েট শুরু করতেই পেট ফাঁপার সমস্যা হচ্ছে? মেনে চলুন ৫ টিপসএকসময়ে মাছ, মাংস বা ডিম ছাড়া দিনই কাটত না। দুধ চা ছাড়া ব্ল্যাক টি বা ব্ল্যাক কফি মুখে উঠত না। হঠাৎ করেই সে মাছ, মাংস, ডিম, দুধ অর্থাৎ সমস্ত প্রাণীজ খাবার খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। যাকে বলে, রাতারাতি ভেগান হয়ে গিয়েছে। আমিষাশীদের তুলনায় ভেগানদের শরীর যেমন সুস্থ ও ঝরঝরে থাকে, তেমনই ত্বক গ্লো করে। কিন্তু, হঠাৎ করে এভাবে ডায়েট বদল করলে শরীর, বিশেষ করে পেট মেনে নিতে পারে না। যার ফলে পেট ফাঁপার মতো সমস্যা দেখা দেয়।
অ্যাসিডিটি, পেট ফাঁপা অবশ্য খুবই কমন সমস্যা। তবে ভেগানরা সাধারণত এই সমস্যা থেকে অনেকটাই দূরে থাকেন। কিন্তু, আমিষাশী থেকে হঠাৎ করে ভেগান হয়ে পড়লে, খাদ্যাভ্যাসে বদল ঘটলে শুরুতে এই ধরনের সমস্যা হওয়া স্বাভাবিক বলেই মনে করেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, পেট ফাঁপার প্রধান কারণ, অতিরিক্ত ফাইবার পাকস্থলীতে জমা হওয়া। ফল, সবজি এবং গমজাতীয় খাবারে ফাইবার বেশি থাকে। এগুলি হজম হতে দেরি হয়। হঠাৎ করে এই ধরনের খাবার বেশি খেলে হজমের গণ্ডগোল ও তার থেকে পেট ফাঁপার মতো সমস্যা হতে পারে। তবে কয়েকটি সহজ উপায়ে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
১) ধীরে-ধীরে ফাইবার জাতীয় খাবার খাওয়া বাড়ান- দীর্ঘদিন কম ফাইবার জাতীয় খাবার খাওয়ার পর হঠাৎ করে সেটা বেড়ে গেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। তাই ভেগান হলে ফাইবার-সমৃদ্ধ খাবারের পরিমাণ ধীরে-ধীরে বাড়ান।
২) সতেজ থাকুন- যে কোনও সমস্যায় শরীর হাইড্রেটেড রাখা জরুরি। হজমের সমস্যা কমাতে বেশি পরিমাণে জল খান। সাধারণত, প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ ব্যক্তির দিনে ৮-১০ গ্লাস জল খাওয়া উচিত। তবে প্যাকেজড ড্রিঙ্কস এড়িয়ে চলুন। বদলে ডাবের জল, গ্রিন টি ডায়েটে রাখুন, যা হজমে সাহায্য করবে এবং পেট ফাঁপা কমবে।
৩) প্রোবায়োটিক খাবার খান- প্রতিদিনের ডায়েটে টক দই, ধোকলা, আচারের মতো প্রোবায়োটিক খাবার রাখুন। এগুলি পেট ফাঁপার সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
৪) ভাল করে সেদ্ধ করুন- যে কোনও খাবার ভাল করে সেদ্ধ করে খান। যেমন, সবজি, ডাল ভাল সেদ্ধ না হলে হজমে সমস্যা হবে। তার ফলে গ্যাস, পেট ফাঁপার সমস্যা হবে।
৫) তাড়াতাড়ি খাওয়া- তাড়াহুড়ো করে খাওয়া উচিত নয়। তাহলে খাবারের সঙ্গে আমাদের সালিভা (জিভের লালা) ঠিকমতো মিশবে না। আমাদের হজমের শুরু হয় সালিভায় থাকা এনজাইমের মধ্য দিয়ে। সেটা খাবারে না মিশলে খাবার হজম হবে না। তার ফলে পেট ব্যথা, পেট ফাঁপার সমস্যা হবে। তাই ধীরে-ধীরে খাবার খান।