ন্যাশানাল এগ কোরডিশনেশন কমিটির ট্যাগ লাইন: ‘সানডে হো ইয়া মনডে, রোজ় খাও আন্ডে’। রোজ ডিম খেলেও কোনও ক্ষতি নেই। বরং, এতেই লাভ হবে আপনার স্বাস্থ্যের। ছোট থেকে বড়, মোটামুটি সকলেই ডিম খেতে ভালবাসে। কখনও সকালের জলখাবারে ডিম সেদ্ধ, কিংবা রাতে ডিম ভাজা আর রুটি। আবার অনেক সময় দুপুরেও থাকে ডিমের কারি আর ভাত। বাড়িতে হঠাৎ করে অতিথি চলে এলে চটজলদি সমাধান হল ওমলেট। বাচ্চার টিফিনেও দেওয়া যায় ডিম। কিন্তু কোনও উপায়ে ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভাল জানেন?
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থেকে শুরু করে প্রোটিন, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি১২, অ্যামিনো অ্যাসিড-এর মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাওয়া যায় ডিমের মধ্যে। তাই তো ডিমকে সুপারফুড বলা হয়। কিন্তু সঠিক উপায়ে ডিম খেলে তবেই মিলবে এসব পুষ্টি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ডিম সেদ্ধ নাহলে ভাজা, এই দুই উপায়ে ডিম খাওয়া হয়। কিন্তু ডিমের উপকারিতা পাওয়ার জন্য, ভাজা নাকি সেদ্ধ, কোন উপায়ে ডিম খাবেন? রইল টিপস।
ডিম সেদ্ধ খাওয়ার উপকারিতা-
বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিম খাওয়ার সবচেয়ে ভাল উপায় হল সেদ্ধ। একটা সেদ্ধ ডিমের মধ্যে ৭৮ ক্যালোরি রয়েছে। পাশাপাশি ভিটামিন, মিনারেল, প্রোটিন ও ফ্যাট প্রায় সব পুষ্টিই অক্ষত অবস্থায় থাকে সেদ্ধ ডিমের মধ্যে। এমনকি সেদ্ধ ডিমের মধ্যে আপনি ন’ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিড পাবেন, যা আপনার সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য অপরিহার্য। পাশাপাশি সেদ্ধ ডিমের মধ্যে ভিটামিন বি১২, ভিটামিন ডি ও রিবোফ্লাভিন একদম সঠিক পরিমাণে পাওয়া যায়, যা হাড় গঠনে, মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবং স্নায়ুবিক সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
ডিম ভাজা খাওয়া কি ঠিক?
তেল বা মাখন ছাড়া ডিম ভাজা যায় না। আর যে মুহূর্তে আপনি কড়াইতে তেল গরম করে ডিম ভাজবেন, ক্যালোরির পরিমাণ বেড়ে যাবে। আর যদি ভাল মানের তেল ব্যবহার না করেন, তখন ওমলেটের সঙ্গে দেহে অস্বাস্থ্যকর ফ্যাটও প্রবেশ করবে। সেখান থেকে বাড়তে পারে কোলেস্টেরলও। অনেকেই ওমলেট বানানোর সময় চিজ, ব্যাকন, মাখন ও সবজি ব্যবহার করেন। সবজি স্বাস্থ্যকর হলেও বাকি উপকরণগুলো ডিমের সঙ্গে না খাওয়াই ভাল। এতে ডিমের পুষ্টিগুণও নষ্ট হবে। তাই ভাজা খাওয়ার থেকে ডিম সেদ্ধ করে খাওয়াই ভাল।