
নিরাপত্তার কারণে আজকাল অনেকেই নিজেদের বাড়িতে বা বাড়ির চারপাশে সিসিটিভি ক্যামেরা বসান। সিসিটিভি অর্থাৎ কোল্জড সার্কিট টেলিভিশন ক্যামেরা। প্রধানত বাড়ির আশেপাশে নজর রাখতেই এই ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়।

নিরাপত্তার কারণে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে রাজ্য রাজনীতিতে। কখনও সিসিটিভি বসানোর আপত্তি তুলে সরব হয়েছেন বিশ্ব বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা তো কখনও আবার সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর দাবি জানিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তবে বারবার আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে উঠে এসেছে সিসিটিভি ক্যামেরা।

সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখার জন্য রয়েছে নানা ধরনের ব্যবস্থা। কোনও ক্যামেরার লাইভ ফুটেজ চেক করা যায় কম্পিউটারে। আবার কোনও ক্যামেরার ফুটেজ আলাদা করে কম্পিউটারে দেখা যায়। বর্তমানে এসেছে নতুন ওয়াইফাই প্রযুক্তি। এই সব প্রযুক্তি ব্যবহার করে এখন আপনি যেখানেই থাকুন না কেন ক্যামেরার লাইভ ছবি কিন্তু দেখতে পাবেন সব সময়। তাও সরাসরি নিজের মোবাইলে। তবে প্রশ্ন হল এই ক্যামেরা বসাতে কত খরচ? সত্যিই কি সিসিটিভি ক্যামেরা বসাতে ৩ কোটি টাকা খরচ হয়?

এখন অনেকেই বাড়িতে সিসিটিভি ক্যামেরা বসান। বাড়িতে সিসিটিভি বসাতে কত খরচ হয়? সিসিটিভি ক্যামেরার খরচ নির্ভর করে কী ধরনের ক্যামেরা তার উপরে। তার সঙ্গে রয়েছে ক্যামেরা লাগানোর জন্য ইনস্টলেশন কস্ট এবং কেবিল বা তারের খরচ। এমনিতে সাধারণ সিসিটিভি ক্যামেরার শুরু হয় প্রায় ৯০০-৯৫০ টাকা থেকে। এগুলি তার যুক্ত ক্যামেরা। তার ছাড়া ক্যামেরার দাম শুরু হয় ১০০০-১৫০০ টাকা থেকে। সাধারণত ৪৫০০-৫০০০টাকা দামের মধ্যে ভাল ওয়ারলেস ক্যামেরা পাওয়া যায় বাজারে।

ডোম ক্যামেরা, অর্থাৎ ঘরের ভিতরে যে ক্যামেরা লাগানো হয়, তার দাম শুরু হয় ৮০০ থেকে এবং প্রায় ৪২০০ টাকা অবধি ক্যামেরার দাম হয়। বাড়ির বাইরে লাগানোর জন্য বিশেষ বুলেট ক্যামেরার দাম শুরু হয় প্রায় ৮০০-১০০০ টাকার মধ্যে। ৫০০০ বা তারও বেশি দামের ক্যামেরা পাওয়া যায়। এতো গেল কেবল ক্যামেরার দাম।

তবে এখন প্রতিদিন নতুন নতুন প্রযুক্তি আসছে। আপগ্রেডেড নানা ক্যামেরার দাম তার প্রযুক্তির উপর নির্ভর করে দামেও বেশি হয়। আবার কোথায় ক্যামেরা লাগাচ্ছেন সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। ক্যামেরা কতটা জায়গা কভার করবে, তা আদৌ সাধারণ ক্যামেরায় কভার করা সম্ভব কি না, এই সব কিছুই নির্ভর করে, ক্যামেরা নির্বাচনের ক্ষেত্রে।

ক্যামেরার পাওয়ার, মেমরি, স্টোরেজ এই সব নানা বিষয়গুলির উপর ভিত্তি করে ক্যামেরার দাম কিন্তু হতে পারে আরও অনেক বেশি। যেমন ধরুন ট্রুভিউ ৩ এমপি এইচডি ৪জি সিম বেসড প্যান টিলট সিসিটিভি ক্যামেরার দাম প্রায় ৩৬ হাজার টাকা। ট্রুভিউ ৩+৩ এমপি ৪জি মিনি পিটি সোলার পাওয়ারড লিংকেজ সিকিউরিটি ক্যামেরার দাম প্রায় ৯০ হাজার টাকা।

সুতরাং ক্যামেরার দাম যে অনেক তা নিয়ে কোনও সংশয় নেই। তবে আপনার দামি ক্যামেরা প্রয়োজন না কম দামি ক্যামেরা, তা ঠিক করতে হবে আপনাকেই। সাধারণত মধ্যবিত্ত পরিবারে যে ধরনের ক্যামেরা লাগানো হয় তাতে চারটি ক্যামেরা ইনস্টলেশন নিয়ে খরচ পড়ে প্রায় ১২০০০-১৫০০০ টাকা।