Burn Cure Tips: পোড়া থেকে ফোসকা… চটজলদি আরাম দেবে রান্নাঘরের ম্যাজিক
ঘরোয়া কয়েকটি টিপস কাজে লাগিয়ে পোড়া স্থানের জ্বলুনি ঠিক করা যায়। অনেকে পোড়া জায়গায় টুথপেস্ট লাগান। বিশেষজ্ঞরা জানান, এমনটা করা মোটেও ঠিক নয়। তা হলে কী হবে জানেন?

হেঁশেলে রান্নার সময় হাত পুড়ে যাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। কখনও মাছ ভাজতে গিয়ে, কখনও লুচি ভাজতে গিয়ে গরম তেল লেগে হাতে, মুখে ফোসকা পড়ে যায়। আবার মাঝে মাঝে গরম কড়াই হাত বা আঙুলে লেগে পুড়ে যায়। সেই সময় যদি হাতের কাছে বার্নল না পান, তাতেও আর চিন্তার কিছু নেই। ঘরোয়া কয়েকটি টিপস কাজে লাগিয়ে পোড়া স্থানের জ্বলুনি ঠিক করা যায়। অনেকে পোড়া জায়গায় টুথপেস্ট লাগান। বিশেষজ্ঞরা জানান, এমনটা করা মোটেও ঠিক নয়। তা হলে কী হবে জানেন?
বিশেষজ্ঞদের মতে, পোড়া স্থানে টুথপেস্ট লাগালে সেই জায়গায় সংক্রমণের সম্ভবনা আরও বেড়ে যায়। তাই হাতে বা গলায় যেখানেই পুড়ে যাবেন, তাতে মাজন লাগাবেন না। নিম্নে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার কয়েকটি ঘরোয়া টোটকা উল্লেখ করা হল।
ঠান্ডা জল
পোড়া জায়গায় সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডা জল দিতে হবে। কমপক্ষে ১০-১৫ মিনিট ঠান্ডা জল পোড়া জায়গায় দিতে হবে। এতে ত্বক ঠান্ডা হবে, জ্বালা কমবে।
কাঁচা আলুর টুকরো
কাঁচা আলু কেটে পোড়া জায়গায় লাগাতে পারেন। এতে থাকা স্টার্চ ও ঠান্ডাভাব ত্বকের জ্বালা কমিয়ে আরাম দেবে।
মধু
মধুর অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল গুণ পোড়া জায়গায় সংক্রমণ হওয়া আটকায়। পুড়ে যাওয়া জায়গায় পাতলা করে মধু মেখে রাখলে ফোসকা ওঠার ঝুঁকি কমে।
দুধ বা দই
ঠান্ডা দুধে ভেজানো তুলো বা এক চামচ দই পোড়া অংশে লাগালে তাতে সঙ্গে সঙ্গে শীতল ভাব অনুভূত হয়। দুধ, দইতে থাকা প্রোটিন ত্বককে সুরক্ষা করে।
অ্যালোভেরা জেল
বাড়িতে যদি অ্যালোভেরা গাছ থাকে, তার পাতার জেল বের করে পোড়া অংশে লাগাতে পারেন। এতে প্রাকৃতিক ঠান্ডা ভাব রয়েছে। যা ক্ষত সারাতে সাহায্য করে।
কখনও পোড়া জায়গায় বরফ সরাসরি দেবেন না, তা হলে টিস্যু ড্যামেজ হতে পারে। এ ছাড়া ত্বকে তেল, ঘি বা মাখন লাগাবেন না, এতে ত্বক আরও গরম হয়ে যেতে পারে। আর মাথায় রাখা উচিত শরীরের কোনও অংশ বেশি পুড়ে গেলে অবশ্যই দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
