সকালে অফিস যাওয়ার তাড়া থাকেই। ফলে কোনও রকমে নাকেমুখে কিছু গুঁজে অফিসের দিকে রওনা হন কেউ-কেউ। আবার সময়ের অভাবে ব্রেকফাস্টে ইতিও টানেন কিছু মানুষ। জানেন কি ব্রেকফাস্ট স্কিপ করলে হতে পারে মারাত্মক সমস্যা? কথাতেই আছে ব্রেকফাস্ট হবে রাজার মতো। তাই সকালে কী খাচ্ছেন সে দিকে নজর দেওয়া ভীষণভাবে জরুরি। সকালের খাবারের উপরই নির্ভর করে সারাদিন কেমন থাকবে আপনার স্বাস্থ্য।
অফিস থাকার কারণে অনেকেই ব্রেকফাস্টে নিত্যনতুন পদ বানানোর সময় পান না। তবে এমন কিছু খাবার রয়েছে যা খুব সময়ে ব্রেকফাস্টে বানিয়ে নিতে পারেন আপনি। জেনে নিন চটজলদি ব্রেকফাস্টে কী খেলে সময়ও বাঁচবে আর শরীরও সুস্থ থাকবে।
ওটস:
ব্রেকফাস্টে ওটসের জুড়ি নেই। আজকাল স্বাস্থ্য সচেতন বাঙালির অন্যতম ভরসা হয়ে উঠেছে এই খাবার। এতে রয়েছে ভরপুর ফাইবার। আর দিনের শুরুটা ফাইবার দিয়ে করলে সুস্থ থাকে শরীর। ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা মেটায়। দুধ বা টকদইয়ের সঙ্গে ওটস খেতে পারেন। চাইলে এতে যোগ করতে পারেন ফলের টুকরোও।
ডিম:
সুস্থ থাকতে রোজ ডিম খাওয়ার পরামার্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। ডিমে রয়েছে ভরপুর প্রোটিন। তাই ব্রেকফাস্টে দু’টি ডিম সেদ্ধ খান।
টকদই:
দেহে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মেটায় টকদই। এ ছাড়াও এতে রয়েছে প্রোটিন। সকালে তাড়াহুড়োতে একবাটি টকদইয়ে ড্রাইফ্রুটস মিশিয়ে খেতে পারেন।
ছোলা সেদ্ধ:
শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী অঙ্কুরিত ছোলা। এতে রয়েছে ভরপুর প্রোটিন ও ভিটামিন। তাই সকালে এক বাটি সেদ্ধ ছোলা খেতেই পারেন।
স্মুদি:
চটজলদি ব্রেকফাস্টের একটি ভাল বিকল্প হল স্মুদি। চাইলে বানিয়ে নিতে পারেন স্ট্রবেরি-কলা স্মুদি। এই স্মুদি বানাতে আপনাকে নিতে হবে ১ টি কলা কয়েক টুকরো স্ট্রবেরি, ১-২ কাপ গ্রিক ইয়োগার্ট। ১-৪ কাপ দুধ। এবং ১-২ চা-চামচ ভ্যানিলা নির্যাস।একটি পাত্রে দুধ দিয়ে তাতে কলা ও কেটে রাখা স্ট্রবেরি দিয়ে দিন। এ বার তাতে ইয়োগার্ট ও ভ্যানিলা নির্যাস দিয়ে মিক্সারে ভাল করে কয়েক বার ঘুরিয়ে নিন।