চুলে তেল দেওয়া চুলের যত্নের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখার পাশাপাশি, তেলকে সুস্থ চুলের রহস্যও মনে করা হয়। তবে অনেক মানুষই চুলে তেল লাগাতে পছন্দ করেন না। এর ফলে চুলে তেলের ঘাটতি দেখা দেয়। ফলে চুল রুক্ষ ও শুষ্ক দেখায়। যাঁরা একেবারেই তেল ব্যলহাক করতে চান না, তাঁদের জন্য রইল বিকল্প ব্যবস্থা, যা চুলকে ময়েশ্চারাইজ করতে সাহায্য করবে।
দই ব্যবহার করুন:
পুষ্টিগুণে ভরপুর টক দই চুলের জন্য প্রাকৃতিক কন্ডিশনারের কাজ করে। চুলের ডিপ কন্ডিশনিং-এর জন্য স্ক্যাল্পে ভাল করে দই লাগান। এবার কিছুক্ষণ পর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এতে চুলের আর্দ্রতা বজায় থাকবে এবং চুলের উজ্জ্বলতাও বাড়বে।
কলার হেয়ার মাস্ক লাগান:
কলায় উপস্থিত অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান চুলকে খুশকি মুক্ত রাখতে সাহায্য করে। কলা চুলের জন্য সেরা ময়েশ্চারাইজিং এজেন্ট হিসাবে বিবেচিত হয়। চুল সুস্থ রাখতে কলার হেয়ার মাস্ক তৈরি করে চুলে লাগিয়ে ১ ঘণ্টা পর চুলে শ্যাম্পু করে ফেলুন। এটি আপনার চুলকে আর্দ্র এবং নরম রাখবে।
মধুর সাহায্য নিন:
চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে, চুলের যত্নে মধু ব্যবহার করতে পারেন। এ সমপরিমাণে মধু ও জল মিশিয়ে চুলে লাগান। তারপর ২০ মিনিট পর পরিষ্কার জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার চুল স্বাভাবিকভাবেই সিল্কি এবং চকচকে দেখাবে।
অ্যালোভেরা ব্যবহার করে দেখুন:
পুষ্টিগুণে ভরপুর অ্যালোভেরা চুলকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরা জেল সরাসরি চুলে লাগান এবং ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে নিন। শ্যাম্পুর পর চুলে কন্ডিশনার লাগাতে ভুলবেন না। এতে আপনার চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখবে এবং চুলের অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।