ত্বকের সমস্যা কমাতে গেলে খাওয়া-দাওয়া নিয়ে সচেতন থাকতেই হয়। আপনি যত বেশি ভাজাভুজি, মশলাদার খাবার খাবেন, ব্রণ, শুষ্ক ত্বকের সমস্যা বাড়বে। নিখুঁত ত্বকের রহস্য শুধু যে ক্লিনজার, টোনার, ময়েশ্চারাইজারের (CTM) মধ্যে লুকিয়ে, তা নয়। ব্যালেন্স ডায়েট ভীষণ জরুরি। সুষম আহার ত্বকের একাধিক সমস্যা রুখে দিতে পারে। আর এই কাজটা ব্রেকফাস্ট দিয়ে শুরু হোক। দিনের প্রথম খাবার যদি স্বাস্থ্যকর হয়, তাহলে আর মেকআপ ব্যবহারের দরকার পড়বে না। আপনার ত্বকের জেল্লা নিজে থেকেই বাড়বে। কিন্তু ব্রেকফাস্ট কী-কী খাবার খাবেন? রইল টিপস।
বেরিজাতীয় ফল: স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি ও র্যাশবেরির মতো ফল অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ। এর মধ্যে ভিটামিন সি-ও রয়েছে। এসব উপাদান ত্বককে ফ্রি র্যাডিকেলের হাত থেকে সুরক্ষিত রাখে। এক মুঠো বেরিজাতীয় ফল ব্রেকফাস্টে রাখলে আপনি স্বাস্থ্যকর ও উজ্জ্বল ত্বক পাবেন।
টক দই: টক দইয়ের মতো স্বাস্থ্যকর খাবার খুব কম রয়েছে। প্রোটিন ও প্রোবায়োটিকে ভরপুর টক দই। এটি অন্ত্রে ভাল ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। আর অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল থাকলে ত্বকের স্বাস্থ্যও ভাল থাকে। এতে ত্বকের প্রদাহও কমে। টক দইয়ের সঙ্গে মধু, ওটস কিংবা বেরিজাতীয় ফল মিশিয়ে খেতে পারেন।
ওটমিল: সুগারকে বশে রাখা থেকে শুরু করে ওজন কমাতে সাহায্য করে ওটস। আবার নিখুঁত ত্বক গঠনেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে ওটমিল। ওটসের মধ্যে বিটা-গ্লুকেন রয়েছে, যা ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে এবং সতেজতা এনে দেয়। আর ওটসের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের ক্ষয় প্রতিরোধ করে। তাছাড়া ব্রেকফাস্টে ওটমিল খেলে সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত হয়।
অ্যাভোকাডো: সহজে বাজারে মেলে না, আর অনলাইনে অর্ডার করলেও প্রায় ১৫০ টাকা পিস অ্যাভোকাডো। স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর অ্যাভোকাডো খেলে ত্বক হয়ে উঠতে চকচকে। এই ফলের মধ্যে থাকা মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট ত্বককে হাইড্রেট রাখে। এছাড়াও এতে ভিটামিন সি এবং ই রয়েছে, যা ত্বককে পুষ্টি জোগায় এবং ত্বকের সমস্যা কমায়।
ডিম: ডিম মুখে মাখলে যেমন বার্ধক্যের লক্ষণ প্রতিরোধ করা যায়, তেমনই এই খাবার খেলেও ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত হয়। ডিমের মধ্যে থাকা প্রোটিন, ত্বকের ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে। ভিটামিন এ এবং ই স্বাস্থ্যকর কোষ গঠনে সাহায্য করে।
আখরোট: আখরোটের মধ্যে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা ত্বকের প্রদাহ কমায় এবং ত্বককে হাইড্রেট রাখে। এছাড়াও এই বাদামে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ত্বককের সূর্যালোকের ক্ষয় থেকে এবং অকাল বার্ধক্য প্রতিরোধ সাহায্য করে।
গ্রিন টি: ব্রেকফাস্টে গ্রিন টি রাখুন। এটি সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত হবে, তার মধ্যে ত্বকও রয়েছে। ক্যাটেচিন নামের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর গ্রিন টি খেলে ত্বকের প্রদাহ কমে। এতে ত্বকের অকাল বার্ধক্যও রোধ করা যায়। তাই দিন শুরু করুন গ্রিন টি খেয়ে।