পুজোর দিনে সকলেই সাজবেন এটাই স্বাভাবিক। বছর ভর এই কয়েকটা দিনেরই তো অপেক্ষা থাকে। সকাল থেকে পুজো মন্ত্রপাঠ, সকলে স্নান সেরে পুজো দিতে যাচ্ছেন আবার বিকেল হলেই শহর সেজে উঠছে আলোর মালায়। চারিদিকে লোকজন, সকলেই নতুন পোশাকে সুন্দর করে সেজে ঘুরছেন, ভোররাত অবধি চলছে চুটিয়ে খাওয়াদাওয়া- এই সময় তিলোত্তমার যেন অন্য রূপ থাকে। অনেকদিন আগে থেকেই পরিকল্পনা চলতে থাকে যে পুজোর দিন কেমন শাড়ি পরা হবে, কেমন হবে সাজগোজ। তবে সাজগোজ মানেই সব সময় নতুন জামা আর প্রচুর মেকআপ এমনটা একেবারেই নয়। বরং যত হালকা সাজে নিজেকে সাজিয়ে নিতে পারবেন ততই দেখতে ভাল লাগে। এতে নিজেরও স্বস্তি থাকে
টলিউডে ফ্যাশনিস্তা হিসেবে বরাবর প্রথমের দিকে থাকেন মিমি চক্রবর্তী। ফ্যাশন ট্রেন্ড নিয়ে যেমন মিমি সচেতন তেমনই নিজেকে সুন্দর করে সাজান তিনি। মিমির মেকআপের বাহুল্য থাকে না, ভীষণ জমকালো পোশাক এমনও নয়। যে পোশাক মিমি নির্বাচন করেন তার রং হয় দুর্দান্ত। সেই সঙ্গে থাকে আভিজাত্যের ছোঁয়া। মেকাপ, পোশাক আর হেয়ারস্টাইলে তাঁকে দেখতে লাগে ভীষণ স্নিগ্ধ। মিনিমাল মেকআপ অনেক দিন ধরেই রয়েছে ট্রেন্ডে। খুব কম সাজেই নজর কাড়া যায় সর্বত্র। সুন্দর দেখাতে প্রচুর সাজের প্রয়োজন নেই। মুখের লরং একরকম আর গলার রং একরকম হলে দেখতে মোটেই ভাল লাগে না। একগাদা মেকআপ মুখে ঘষে, চকচকে উজ্জ্বল শাড়ি পরে নিলেন আর গায়ে সব গয়না জড়িয়ে নিলেই যে দেখতে ভাল লাগে এমনটা নয় একেবারে। এতেই দেখতে লাগে ভীষণ খারাপ।
হালকা শেডের শাড়ি পরলে বয়স্ক লাগে এই ধ্যানধারণা থেকে বেরিয়ে আসার সময় হয়েছে এবার। সব রঙে সকলকে দেখতে ভাল লাগে। তবে যে পোশাক পরছেন সেই বিষয়ে নিজেকে আত্মবিশ্বাসী থাকতে হবে আর কী ভাবে সাজছেন তাও গুরুত্বপূর্ণ। যে পোশাকে নিজে আরাম পাবেন এমনি কিছু বেছে নিন। এই পুজোয় মিমি যে কয়েকটি শাড়ি পরেছেন সবকটিতেই তাঁকে লাগছে দারুণ। অধিকাংশ শাড়ি তিনি পিংক শেডে বেছে নিয়েছেন। খুব সাধারণ গয়নায় সেজেছেন। হাতে চুড়ি কিংবা কানে দুল। কখনও আলগোছে খোঁপা করেছেন আবার কখনও স্ট্রেট করে চুল খোলা রেখেছেন। এমন সাজই আদর্শ, আর এইবাবে সাজলে সকলকেই দেখতে ভাল লাগে। অতি সাজে নিজের প্রাকৃতিক সত্ত্বাই হারিয়ে যায়। আর হাতে মাত্র একটা দিন রয়েছে, এমন হালকা সাজেই তাক লাগিয়ে দিন।