আজ মাঘের প্রথম দিন। কাল থেকেই ফের শুরু বিয়েবাড়ির হৈচৈ। টানা চলবে সেই এপ্রিল মাস পর্যন্ত। বিয়েবাড়ি মানেই এখন একটা বড় ইভেন্ট। আগের মত বিয়ে আর একদিনে হয় না। সঙ্গীত, গায়েহলুদ, ব্যাচেলর্স পার্টি থেকে শুরু করে একাধিক অনুষ্ঠান থাকে। বাঙালি বিয়েতেও এখন মিশেছে উত্তর ভারতের ছোঁয়া। বিয়ের জন্য এখন লক্ষাধিক টাকা খরচ করতেও পিছপা হন না এখনকার যুগলেরা। পাঁজি বেরনোর আগে থেকেই শুরু হয়ে যায় বিয়ের প্রস্তুতি। বিয়ের দিনের সাজ, বৃদ্ধি, গায়েহলুদ, ফটোগ্রাফি, ডেকোরেশন, মেকআপ, কার্ড সব মিলিয়ে অনেক আয়োজন থাকে। বিয়ে নিয়ে অনেক আগে থেকেই ভাবনা চিন্তা করতে শুরু করে দেন এখনকার ছেলে-মেয়েরা। হাতে খাতা, কলম নিয়ে বসে রীতিমতো রিসার্চ করেন তাঁরা।
ইদানিং বিয়ের জন্য আক্ষরিক অর্থেই এক বছর আগে থেকে সব শুরু করতে হয়। পছন্দমতো অনুষ্ঠান হল, মেকআপ আর্টিস্ট আর ফটোগ্রাফি এসব আগে থেকে বুক না করলে মনোমত পাওয়া যায় না। বিয়ের কার্ড, ডেকোরেশন এসবে অভিনবত্ব রাখতে চান অনেকেই। এর জন্য অবশ্য নিজেকে মাথা খাটাতে হবে। যদিও এখন অনেক এজেন্সি রয়েছে, ইভেন্ট প্ল্যানার রয়েছে যাঁরা আগে থেকে সব চাহিদামতো সব তৈরি করে দেন। নিজের বিয়েতে অধিকাংশ দায়িত্ব নিজেকেই নিতে হয়। আর বিয়ে একবারই হয়। তাই বিয়ের যাবতীয় সাজ-পোশাক নিয়ে নিজেকেই ভাবতে হয়।
বিয়ের দিন সকালে ফটোগ্রাফিরও একটা ঝক্কি থাকে। আর তাই বিয়েতে যত হালকা সাজা যায় ততই দেখতে ভাল লাগে। অতিরিক্ত মেকআপ ব্যবহার করলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়, ত্বক একটু বেশিই তখন ক্লান্ত লাগে। আর তাই বিয়ের সকালের জন্য বেছে নিন লাল পাড় সাদা শাড়ি। সঙ্গে লাল সনাতনী স্টাইলের ব্লাউজ। গলায় সোনার গয়না, লাল টিপ, খোলা চুল আর শোলার মুকুটেই সাজ কমপ্লিট করুন। এতেই দেখতে লাগে সবচাইতে ভাল। চোখে খুব হালকা করে কাজল দিন। দরকারে তা নাও দিতে পারেন।
গায়ে হলুদে এখন অনেকেই নকল ফুলের গয়না পরেন। আবার অনেকে লেহঙ্গাও পরেন। তবে এক্ষেত্রে শাড়ি পরলেই দেখতে বেশি ভাল লাগে। হলুদ শাড়ি, লাল পাড়- এটাই গায়ে হলুদের ট্র্যাডিশন্যাল শাড়ি। এর সঙ্গে সোনার গয়না, টিকলি এসব পরলেই ভাল লাগে। অনেকেই গায়েহলুদে জমকালো সাজ সাজেন। এক্ষেত্রে সমস্যা হয় রাতের সাজে। কারণ গায়ে হলুদ সারতে দেরী হয়ে যায়। এরপর ভাল করে মেকআপ তোলার বা শ্যাম্পু করার সময় পাওয়া যায় না। যাই বলা হোক না কেন বিয়েতে রাতের সাজই হল মুখ্য। তাই সনাতনী সাজেই নিজেকে সাজিয়ে নিন নিজের বিয়েতে।