ফ্যাশানের ধরাবাঁধা কোনও সংজ্ঞা নেই। যেটুকু আছে তা নেহাতই আমাদের মনগড়া। সাজ-গোজ তো শুধুমাত্র নিজের আনন্দের জন্য। সেখানে আর অন্য কোনও কিছুর সংজ্ঞা লাগে না। আজকাল ফ্যাশানের জন্যও আলাদা স্টেটমেন্ট তৈরি হয়। ফ্যাশানের আলাদা থিয়োরিও থাকে। তবু ফ্যাশানের ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায় মানুষ তাঁর নিজের প্রয়োজনমতো ফ্যাশানকে বদলে নিয়েছেন। বলা ভাল নিজের প্রয়োজনে ফ্যাশান তৈরি করেছেন। কাজের প্রয়োজনে আজকাল মেয়েরা যেমন সিগারেট প্যান্ট পরেন তেমনই ঢোলা আরামদায়ক পালাজোও পরছেন। কেউ লং টপ দিয়ে লং স্কার্ট পরছেন তো কেউ আবার ক্রপ টপের সঙ্গে শাড়ির ফিউশন করছেন। জোর করে কাউকে কখনও কিছু পরানো যায় না। ফ্যাশান এমনই।
অনুষ্ঠান বা কোনও বিশেষ কোনও পার্বণে সকলেই সাজগোজ করেন। সকলেই চান অনুষ্ঠানের যাবতীয় লাইমলাইট যেন তাঁকে ঘিরেই থাকে। কপালের টিপ, খোঁপার ফল, কানে ঝুমকা, শাড়ির আঁচল- নজর কাড়তে চান সকলেই। সুন্দর করে সাজগোজ করার অনেক টিপস দেন বিশেষজ্ঞরা। আবার ফ্যাশানের ক্ষেত্রে অনেকে অনুকরণও পছন্দ করেন। তবে সবচাইতে ভাল নিজের মনের মত করে সাজা। হাজার টিপস দিলেও বিশেষজ্ঞরা কিন্তু সব সময় বলেন, যে পোশাকে আপনি নিজে আরাম পান তেমনই পোশক বাছুন।
আমাদের মত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় দেশে সারা বছরই গরম, ঘাম। ফলে এমন আবহাওয়াতে সবচাইতে ভাল হল হ্যান্ডলুম বা কটনের শাড়ি। বাংলাতে কটন শাড়ির এত বৈচিত্র্য পাওয়া যায় যে তা আর অন্য কোনও কোথাও পাওয়া যায় না। আর তাই হ্যান্ডলুমের শাড়ি নিজের মত করে গায়ে জড়িয়ে নিন। ঠিক যেমনটা করেছেন অভিনেত্রী চান্দ্রেয়ী ঘোষ। বাগাড়ু প্রিন্টের লাল রঙের ব্লাউজের সঙ্গে সাদা-কালো-লাল কম্বিনেশনের একটি ধনেখালি পরেছেন তিনি। খোলা চুল। এক হাতে শাঁখা আর পলা, কপাল নয় নাকেই টিপ পরেছেন তিনি। এই শাড়ির ছবি ক্যাপশনে দিয়ে তিলি লিখেছেন- পরান বান্ধিবি কেমনে, আসলে মনকে তো আর বেঁধে রাখা যায় না। সে তার নিজের খুশিতেই চলে। সেই ছবিই ধরা পড়েছে অভিনেত্রীর ছবিতে।
ইন্ডিগো রঙের অ্যাসেমেট্রিকাট ব্লাউজের সঙ্গেও দারুণ ভাবে হ্যান্ডলুমের শাড়ি পরেছেন তিনি। উঁচু করে চুল বেঁধেছেন। সাধারণ মেকআপে অসাধারণ লাগছে তাঁকে। সেই সঙ্গে স্টাইলিশও। অফিস থেকে পার্টি- যে কোনও জায়গাতেই আজকাল দারুণ স্মার্ট আর ঝকঝকে লাগে এই হ্যান্ডলুমের শাড়ি। আর তাই এই শাড়িতে ফ্যাশান জমুক আপনারও। নিজের মত করে সাজুন। ফ্যাশান হোক আরামদায়ক।