বছর শেষের এই সময়টায় কাজের চাপ একটু কম থাকে। আর এই সুযোগে সকলেই নিজেদের মত একাধিক পরিকল্পনা সেরে রাখেন। কেউ পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান, কেউ আবার দূর দেশ থেকে বাড়িতে ফেরেন। আবার অনেকেই ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন। দেশের সর্বত্র ঠাঁই নেই অবস্থা। ট্রেনে-বাসে তো সেই কবে থেকেই টিকিট নেই। যাঁদের সুযোগ আছে তাঁরা নিজের গাড়ি নিয়েই বেরিয়ে পড়ছেন। রেস্তোরাঁর বাইরে লম্বা লাইন। সব মিলিয়ে খুব জমজমাট পরিস্থিতি। আমাদের রাজ্যে শীতের স্থায়িত্ব খুবই কম। তাও এবার পশ্চিমী ঝঞ্জার প্রকোপে শীত তেমন জাঁকিয়ে পড়ার সুযোগ পায়নি। আলমারিতে বছরভর যে সব ফ্যাশনেবল কোট, জ্যাকেট তোলা থাকে সেই সব গায়ে চাপানোর মত শীত এবার পড়েনি। অনেকেই তাই আশাহত। তবুও এই মাহেন্দ্রক্ষণে পিকনিক, পার্টি কিংবা আড্ডা থেকে কেউ নিজেকে বঞ্ছিত রাখতে চান না।
পার্কস্ট্রিটে থিকথিকে ভিড়। পছন্দের ক্যাফে, রেস্তোরাঁতে তিল ধারনের জায়গা নেই। খাওয়ার জন্য ২ ঘন্টা লাইন দিয়ে হা পিত্যেশ করে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। বন্ধুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ থেকে শুরু করে ফ্যামিলি রিইউনিয়ন- সকলেই এই শীতের সময়টা বেছে নেন। আর তাই আড্ডা, খাওয়া-দাওয়া এসব লেগেই থাকে। সারা বছর যতই টি-শার্ট, স্কার্ট, জিন্সে ফ্যাশন হোক না কেন শীতের দিনে সকলেই চান পছন্দের সোয়েটার, জ্যাকেট পরতে। আর তাই যদি কোথাও স্পেশ্যাল ডিনারে যান তাহলে জিন্সের সঙ্গে স্টাইলিশ মাফলার, জ্যাকেট পরতে পারেন। ট্রেঞ্চ কোট অনেকদিন ধরেই ফ্যাশনে ইন। এছাড়াও কোট স্টাইল ড্রেস, জিনসের জ্যাকেট, ওভার কোট, সোয়েট শার্ট কিংবা ড্রেস যেভাবে খুশি সাজতে পারেন। এই সময় ড্রেসের সঙ্গে স্টকিংস, লং বুট এসবও দেখতে খুব ভাল লাগে। টুপি পরুন, বাহারি মাফলর পরুন। এখন বাজারে পুরাতনী বৌ টুপি বা হনুমান টুপি আর পাওয়া যায় না। প্রতিটি টুপিই ভীষণ ফ্যাশনেবল। কোনও একটা টি-শার্টের সঙ্গে জ্যাকেট আর এই টুপি পরলেও দেখতে বেশ ভাল লাগে।
জুতো, সোয়েটার, মাফলার আর জ্যাকেট- এসবই তো শীতের ফ্যাশনের মূল উপাদান। তাই সারাবছর আলমারীতে বন্দি থাকা শীত পোশাক নামিয়ে এভাবেই নিজের মত গায়ে চাপান। ফ্যাশন হোক পছন্দসই। তবে একথাও মাথায় রাখা জরুরি যে রোগাদের এই শীত পোশাকে যত ভাল লাগে মোটাদের কিন্তু তা লাগে না। তাই পছন্দের জ্যাকেট পরলেই যে ভাল ছবি উঠবে এমটা ভুল করেও ভাববেন না।