Shirt Pockets: ‘ছোট্ট মন’ কবে জায়গা পেল টি-শার্টে? রইল প্রিয় পোশাকে বুক পকেটের সংযোজনের গল্প

TV9 Bangla Digital | Edited By: রেশমী প্রামাণিক

Sep 21, 2022 | 7:56 PM

The History of Shirt Pockets: ১৮৯৮ সালে স্পেন-আমেরিকার যুদ্ধের সময় মার্কিন নৌ-বাহিনী তাদের সৈন্যদের জন্য বোতাম দেওয়া শার্ট ব্যবহার শুরু করে। সেই থেকে শুরু

Shirt Pockets: ‘ছোট্ট মন’ কবে জায়গা পেল টি-শার্টে? রইল প্রিয় পোশাকে বুক পকেটের সংযোজনের গল্প
ছোট্ট মনের গল্পকথা

Follow Us

প্রয়োজন নেই আয়রনের, যখন খুশি যে ভাবে পরলেই হল। সর্বত্র পরে যাওয়া যায়। টি-শার্টের মাধ্যমে আবার দেওয়া যায় বার্তাও। যে কারণে টি-শার্ট খুবই জনপ্রিয় একটি পোশাক। যার সূচনা হয়েছিল আমেরিকায়। সলিড কালার, গ্রাফিক্স, নানা রকম লোগো এবং অন্যান্য নকশা- এসবই আঁকা থাকে টি-শার্টের গায়ে। তবে প্রয়োজনীয় টি-শার্টে কবে জুড়ল বুকপকেট! কী ভাবে ছোট্ট মন জায়গা করে নিল বুকের একপাশে, সেই গল্প জানা আছে কি?

শার্টের সঙ্গে যদি তুলনা করা হয় তাহলে বলতে হবে টি-শার্ট এখনকার ওয়ার্ড্রোবে নতুন সংযজন। এমনও অনেক এমন মানুষ আছেন যাঁরা শুধুমাত্র শার্টেই অভ্যস্ত। ১৮০০ শতকের শেষ থেকেই টি-শার্টের প্রচলন শুরু এমনটা বলা যায়। আবার উনিশ শতকে অর্ন্তবাস হিসেবে টি-শার্টের এই কাপড়ই ব্যবহার করা হত। সেই সময় টি-শার্ট পরা হত জামার তলায়।

১৮৬৮-তে নিউ ইয়র্কের ইউনিয়ন স্যুট হিসেবে বানানো হয়েছিল টি-শার্ট। যদিও তখন এই টি-শার্ট নামকরণ হয়নি। শীতের দিনে শরীর গরম রাখতেই শার্টের তলায় টি-শার্ট পরতেন তাঁরা। ইউনিয়ন টি-শার্ট দুটো পার্টে বানানো হয়েছিল। পরে এই দুটো পার্ট ভেঙেই উনিশ শতকের শেষে টি-শার্ট বানানোর পরিকল্পনা করা হয়। তখন বোতাম দেওয়া এবং বোতাম ছাড়া- এই ২ রকম টি-শার্টই ব্যবহার করা হত। প্রথম যে টি-শার্ট বানানো হয়েছিল তাতে কোনও কলার ছিল না। উল বা কটন কাপড় ব্যবহার করেই বানানো হত টি-শার্ট। কবে থেকে টি-শার্ট বাজারে হাতির হল সেই দিনক্ষণ জানা না গেলেও তখন আমেরিকার কিছু জায়গায় পুলওভার নিষিদ্ধ ছিল-একথাও শোনা গিয়েছে।

১৯০৪- Cooper underwear Company প্রথম পুলওভার বানায়। এবং সেই পুলওভারের নাম দেওয়া হয়েছিল ব্যাচেলর আন্ডারশার্টস। এই প্রোডাক্টের ট্যাগলাইন ছিল- ‘No Safety Pins, no buttons, no needle. no thread’. ১৮৯৮ সালে স্পেন-আমেরিকার যুদ্ধের সময় মার্কিন নৌ-বাহিনী তাদের সৈন্যদের জন্য বোতাম দেওয়া শার্ট ব্যবহার শুরু করে। সেই থেকে শুরু। এই শার্ট যুদ্ধের সময় নৌ-সেনাদের একাধিক সুবিধে দিয়েছিল। এরপর নাবিক এবং নৌসেনাদের জন্য কলার ও পকেট দেওয়া টি-শার্টই প্রধান পোশাক হিসেবে মান্যতা পায়। সাদা টি-শার্টই ছিল তখনকার নৌ-বাহিনীর পোশাক। স্পেনের সঙ্গে যুদ্ধ শেষ হওয়াীর পর অধিকাংশ আমেরিকার অধিবাসী কুল ফ্যাশান হিসেবে টি-শার্ট পরতে শুরু করে। ক্রমশ বাড়ে উৎপাদনও। বাচ্চাদের জন্যও টি-শার্ট বানানো শুরু হয়। বড়দের জন্য নানা মাপের টি-শার্ট বানানো শুরু হল এই সময় থেকেই।

১৯৫০ থেকে টি-শার্ট জনপ্রিয়তার তুঙ্গে ওঠে। সিনেমাতেও অভিনেতারা এই টি-শার্ট পরতে শুরু করেন। এমনকী টেলিভেশন, স্টেজ শো-তেও এই পোশাকের প্রচলন বাড়ে।

পকেটের সংযোজন

পোশাকে পকেটের ব্যবহার ৫০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রচলিত রয়েছে। কিন্তু টি-শার্টে পকেটের ব্যবহার তার অনেক পরে এসেছে। ১৯৫০ থেকে ১৯৬০- এই সময়ের মধ্যে টি-শার্টে বুক পকেটের সংযোজন খুবই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ওয়েস্টকোটের পরিবর্তে এই বুকপকেটওয়ালা টি-শার্টই সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় মানুষ গ্রহণ করতে শুরু করে। পেন, সিগারেট এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য জিনিস রাখার সুবিধার্থেই প্রচলন বাড়ে পকেটওয়ালা টি-শার্টের। এখনকার টি-শার্টে বৃত্তাকার বা বর্গক্ষেত্রাকার পকেট থাকে। মূলত বাঁ দিকেই পকেট থাকে। এখন পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের টি-শার্টেই পকেটের সংযোজন লক্ষ্য করা যায়। ছেলেদের টি-শার্টে পকেট জনপ্রিয় হওয়ার পর থেকেই মহিলাদের শার্টেও সংযোজন হয় পকেটের।

Next Article