সব মেয়ের কাছেই শাড়ি হল খুব প্রিয়। আর প্রতিটা শাড়ির নেপথ্যে একটা করে সুন্দর গল্প থাকে। সেই সঙ্গে জড়িয়ে থাকে অনেক ভাললাগাও। যতই আজকালকার মেয়েরা শাড়ি পরতে ভালবাসুক না কেন কালেকশনে বেশ কিছু প্রিয় শাড়ি সকলেরই থাকে। সিল্ক, তাঁত, তসর এসব শাড়ি তো ছিলই এই তালিকায় নবতম সংযোজন হল শিফন, জর্জেট। যদিও এই শিফনের শাড়ি আগেকার দিনেও ছিল। ত এই সব শাড়িকে তখন আর আলাদা নামে কেউ চিনত না। একসঙ্গে সকলেই সিন্থেটিক শাড়ি বলে চিনতেন। এখন শাড়িতেও পার্টি ওয়্যারের চাহিদা বেড়েছে। আর এই পার্টিওয়্যারের মধ্যে শিফন, জর্জেটের চাহিদাই সবচাইতে বেশি। সিক্যুইনের কাজ, ফ্লোরাল প্রিন্টের কাজ কিংবা অরগ্যাঞ্জা শাড়ির বেস কিন্তু এই শিফন।
শাড়ির দোকানে শিফন আর জর্জেট দুটো শাড়ির নামই একসঙ্গে বলা হয়। যে কারণে অধিকাংশই এই দুই শাড়ির মধ্যে ফারাক করতে পারেন না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ঠকে যান। কখনও শাড়ির মান খারাপ থাকে তো কখনও আবার শাড়ির প্রিন্টে সমস্যা থাকে। শিফন শাড়ির উপর অনেক রকম প্রিন্ট থাকে। কিন্তু জর্জেটের শাড়ির উপর ভারী কাজই মূলত করা থাকে। ফ্লোরাল, অরগ্যাঞ্জা, জিওমেট্রিক, প্যার্টান এসব শিফনের শাড়িতে বেশি ভাল ফোটে। ফ্যাশন শো-তেও তাই এই আর্ট ওয়ার্কের চাহিদা বেশি। অন্যদিকে জর্জেট সাধারণত অনুষ্ঠান বাড়িতেই পরার চল রয়েছে।
কীভাবে এই দুই শাড়ির ফারাক বুঝবেন?
শিফন শাড়ি অনেক বেশি নরম, তুলতুলে হয়। হাতে ধরলে মোড়ামুচড়ি বেশি হয়। আলমারিতে কম জায়গার মধ্যে রাখা যায়। আর শিফন শাড়ির কুঁচি অনেক বেশি ছড়ানো হয়। প্লিটে প্লিটে সব সময় বসে থাকে না। অনেক রকম স্টাইল করে শিফন শাড়ি পরা যায়। যে কোনও ইন্দো-ওয়েস্টার্ন লুক তৈরি করতে ভরসা এই শিফনের শাড়ি। অন্যদিক জর্জেট তুলনায় খসখসে। মোলায়েম ভাব থাকে না। জর্জেটের ফ্র্যাব্রিকে শাইনিং ভাব অনেক কম থাকে। কিন্তু একটা চিকচিকে ভাব থেকে যায়। তবে ডিজাইনার শাড়ি, ব্লাউজ বানাতে জর্জেটের কাপড়ের জুড়ি মেলা ভার। শিফন কাপড় দিয়ে কিন্তু কোনও ব্লাউজ বানানো যায় না। শিফনের মধ্যে প্যাস্টেল শেড বেশি পাওয়া যায়। জর্জেটের মধ্যে বেস রং অর্থাৎ সাদা, কালো, সবুজ, নীল, ধূসর, বেগুনি এসব বেশি দেখা যায়। জর্জেট কাপড় অনেকটা বেশি রং ধরে রাখতে পারে। যে কারণে গাঢ় রঙের আধিক্য বেশি।