ঝড়, ঝঞ্ঝা, নিম্নচাপের ঝুঁকি পেরিয়ে অবশেষে শহরে শীতের আগমন। ফ্যান আর গালছে না বললেই চলে। লেপ এখনও পর্যন্ত না লাগলেও অনেকেই আলমারি থেকে কম্বল বের করে নিয়েছেন। সেই সঙ্গে শীত বস্ত্রও টুকিটাকি নামতে শুরু করেছে। টুপি, মাফলার, স্টোল তো লাগছেই এখন পুলওভারের প্রয়োজনীয়তাও বেড়েছে। শীতের স্থায়িত্ব শহরে খুবই কম। আর তাই যেটুকু সময় পাওয়া যায় সকলেই চান তা চেটেপুটে উপভোগ করে নিতে। শীতের ফ্যাশান মানেই বাহারি জ্যাকেট আর সোয়েটার। শীতের পোশাক কেনার সময় এই একটাই। ফলে অন্যান্য পোশাকের মত শীতের পোশাক অতটাও কেন হয় না। হাওয়া অফিস বলছে আগামী পাঁচদিন আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাও নেই। যেহেতু উত্তর -পশ্চিম হাওয়ার দাপট এখনও তেমন নেই তাই শীতও তেমন পড়েনি। সকালের দিকে তাপমাত্রা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা বাড়বে। অর্থাৎ শীত তেমন মালুম হবে না।
শীতবস্ত্র তো বছরে একবারই নামানো হয় আলমারি থেকে। তবে কী ভাবে এই সব শীতবস্ত্র কাচাকুচি করবেন? সোয়েটার, মাফলার ভাল রাখতে নিয়মিত তা কেচে রাখা প্রয়োজন। আবার রং যাতে চটে না যায় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। আর ব্যবহার করার আগে জ্যাকেট, সোয়েটার এসব অবশ্যই কেচে নেবেন। সব থেকে আগে যা করতে হবে তা হল লেপ, কম্বল, সোয়েটার অবশ্যই রোদে দেবেন। উলের জামা থেকে রোঁয়া ওঠার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই অন্য জামাকাপড়ের সঙ্গে শীতবস্ত্র মিশিয়ে দেবেন না। আর কোনও জামাকাপড়ই কেচে একেবারে কড়া রোদে দেবেন না। এতে রং চটে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। এছাড়াও শীতের জামা লিক্যুইড সোপ দিয়ে ধোওয়ার চেষ্টা করুন। গুঁড়ো সাবান ব্যবহার না করাই ভাল। মাফলার বা কাঁথা স্টিচের স্টোল যদি ব্যবহার করেন তাহলে তা সাধারণ সাবানেই কেচে নিতে পারেন।
লেপ, কম্বল কিংবা কাঁথা অনেকেই বাড়িতে কাচতে ভয় না। আবার এরকমও অনেকে করেন যে পুরো শীতকাল একটানা ব্যবহার করে তারপর তা কাচতে দেন। এই ভাবে ব্যবহার করলে ত্বকে সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকে যায়। সপ্তাহে অন্তত এক থেকে দু’বার লেপের ঢাকা বদলে নিন। কম্বল যদি তুলোর তৈরি না হয়, সেক্ষেত্রে শ্যাম্পু গোলা জলে কম্বল কাচতে পারেন। এছাড়াও শীতের দিনে রোজ লেপ, কম্বল রোদে দিতে ভুলবেন না।