পোশাকের সঙ্গে মানানসই জুতো না পরলে দেখতে মোটেই ভাল লাগে না। কোনও পোশাকের সঙ্গে যেমন স্টিলেটো, বুট এসব ভাল লাগে তেমনই আবার কোনও পোশাকের সঙ্গে মানানসই হল স্যান্ডেল। জামা আর জুতো- এই দুটো ম্যাচিং না হলে ফ্যাশানের কী বা রইল। তাই নতুন জামা কেনার সময় থেকেই মাথায় ঘুরতে থাকে যে সঙ্গে ম্যাচিং জুতোও চাই। কাজের প্রয়োজনে এবং হাঁটার সুবিধার্থে অধিকাংশ সময় কভার শ্যু, পাম্প শ্যু আর স্নিকার্স পরে কাটিয়ে দিলেও ইন্দো-ওয়েস্টার্ন বা ওয়েস্টার্নের সঙ্গে সব সময় হিল জুতোই ভাল লাগে। হিল-তোলা জুতো বাচ্চা মেয়েদের কাছে একরকম আকর্ষণের বস্তু। বেশিরভাগ বাচ্চারই ছোট থেকে হিল জুতোর প্রতি একটা আকর্ষণ থাকে। কারণ হিল জুতো পরলে পায়ের শেপ নষ্ট হয়ে যায়, পায়ে ব্যথা হয়।
হিল জুতো একটানা পরে থাকলে পায়ে ব্যথা করে এ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। সারা জীবন তো ফ্ল্যাট আর হিল পরে কাটানো যায় না। আর তাই ফ্যাশান করতে হিল জুতো যেমন পরতে হবে তেমনই কী ভাবে ব্যথা এড়িয়ে চলা যায় সেই কৌশলও শিখতে হবে। আর তাই রইল কিছু টিপস।
প্রত্যেকের পায়ের গড়ন আলাদা হয়। কারোর পায়ের গড়ন লম্বাটে আবার কায়ের পায়ের গড়ন গোল। কারোর আঙুল লম্বা হয়। ফলে জুতোও সেই ভাবে বাছতে হয়। নইলে পা মুড়ে থাকার সম্ভাবনা থেকে যায়। পা যদি আরামদায়ক ভাবে জুতো তো না বসে তাহলে ব্যথা অবধারিত। পয়েন্টেড হিলস বা পেনসিল হিলস দেখতে ভাল লাগলেও সেখান থেকে সমস্যা বেশি হয়। আর তাই প্ল্যাটফর্ম হিল, ওয়েডজ হিল, ব্লক হিল, কুবান হিল পরতে পারেন। একান্তই যদি সরু হিল পছন্দ হয় তাহলে কোমা হিলসও পরতে পারেন। ফ্লেয়ার হিলও দেখতে সুন্দর। আর এই হিল পরলেও কিন্তু দেখতে বেশ লাগে। জুতো কেনার সময় সব সময় পায়ের পাতা মেপে রাখবেন। তাহলে ততটাও অসুবিধে হবে না। অতিরিক্ত টাইট জুতো যেমন পরবেন না তেমনই খুব ঢিলে জুতোও পরবেন না। তাহলে পড়ে যাওয়ার বা হোঁচট খাওয়ার সম্ভাবনা থাকে প্রবল।
এছাড়াও জুতো কিনতে যাওয়ার সময় যা কিছু মাথায় রাখবেন-
পেনসিল হিল দেখতে স্টাইলিশ, চটজলদি লুকে বদল এনে দেয়- এসব কথা সত্যি। কিন্তু এই হিল পরে বেশিক্ষণ হাঁটা যায় না। বলা ভাল রাস্তায় এই জুতো পরে হাঁটা উচিত নয়। অল্প সময়ের জন্য কোনও অনুষ্ঠানে গেলে সেখানে চলতে পারে।
ব্ল্যাটফর্ম বা ব্লক হিল হল সবচাইতে ভাল অপশন। জুতোর সোল নরম কিনা কেনার সময় তা দেখে নিতে একেবারেই ভুলবেন না।
একটানা জুতো পরে থাকবেন না। মাঝে মধ্যেই পা থেকে জুতো খুলে নিন।
পায়ে অবশ্যই ভাল করে মালিশ করবেন। বাড়ি ফিরে জুতো খুলে পায়ে মালিশ করলে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। ফলে পা লাল হয়ে যায় না বা ফুলে থাকে না।