সময় পেলেই ব্যাগ প্যাক করে বেড়িয়ে পড়েন মনামী। সঙ্গে কেউ থাক বা নাই থাক তিনি একাই বেরিয়ে পড়েন। ইউটিউব চ্যানেলে সেই জায়গা নিয়ে ভ্লগও বানান। কিছুদিন আগে মনামী গিয়েছিলেন কোরিয়া। আর সেখানে গিয়ে কোরিয়ার মেযেদের সঙ্গে এক দলে মিশে গেলেন তিনি। এমনিই মনামী রোগা, ছিপছিপে- আর তাই তাঁর আদলের সঙ্গে কোরিয়ানদের বেশ মিল রয়েছে। দলবেঁধে কোরিয়ান মেয়েদের সঙ্গে যখন তিনি ছবি পোস্ট করেছেন তখন তাঁকে আলাদা করে চেনার উপায় নেই। টলিউডে বরাবরই ফ্যাশনিস্তা হিসেবে পরিচিত মনামী। অভিনয়ের পাশাপাশি রকমারি পোশাক নিয়েও তিনি এক্সপেরিমেন্ট করেন। কিছুদিন আগে একটি সাক্ষাৎকারে মনামী জানিয়েছিলেন, নানা পোশাকে তিনি ভক্তদের খুশি রাখতে চান। টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে মেটালের পোশাক তিনিই প্রথম পরেন।
কোরিয়ায় গিয়ে সেখানকার পোশাক, বিকিনি, শর্টসে দেখা গিয়েছে মনামীকে। একই সঙ্গে মনামী কিন্তু ওখানে গিয়ে শাড়িও পরেছেন। সাদা রঙের একটি কটন শাড়ি পরলেন মনামী। এই শাড়ির সঙ্গে সোনালি রঙের সরু পাড় রয়েছে। সাদা ব্লাউজ আর সাদা শাড়িতে মনামীকে দেখতে খুব সুন্দর লাগছে। কোরিয়ার মনোরম পরিবেশে খোলা চুলে ফুল গুঁড়ে এত সুন্দর ছবি তুলেছেন মনামী যে তা দেখে রূপকথার থেকে কোনও অংশে কম লাগছে না। প্রকৃতি যদি সুন্দর, মনোরম থাকে তাহলে আর আলাদা করে মেকআপ করার প্রয়োজন পড়ে না। মনামীও তা মেনে চলেছেন।
সাদা রং শুভ্রর প্রতীক, এই রং এত স্নিগ্ধ যে মন ভাল করে দেয়। সাদা রঙের মনোক্রোম্যাটিক এই শাড়ির একঘেঁয়ে লুক ভেঙেছে এই সোনালি পাড়। একটা পিন করেই শাড়িটি পরেছেন মনামী। চৌকো শেপের ব্লাউজের গলা হওয়াতে তা দেখতেও বেশ লাগছে। কানে স্টাড ইয়াররিং, হাতে সোনালী রঙের চুড়ি পরেছেন। কানের পাশে যত্ন করে গুঁজে নিয়েছেন সাদা ফুল। এতে যেন আরও বেশি প্রাকৃতিক লাগছে তাঁর ছবিগুলো। ঠিক যেন ছবি দিয়েই একটা গল্প এঁকেছেন। এই ছবিটির ক্যাপশনে সুন্দর একটি কবিতাও লিখেছেন মনামী- বনের যে ফুল, ফুল মাঝে ফুল..
নামটি যেমন শুনিতে কানে..
তেমনি সে রুপ, তেমনি গুণে…
মাঝেমধ্যে এরকম মেকআপ, ঝলমলে পোশাকের বাইরে গিয়ে সাধারণ সাদা পোশাকেই দেখতে সবচেয়ে বেশি ভাল লাগে। এতে চোখের আরামও হয়। মনামীর এমন সুন্দর ছবি দেখে না থাকলে একবার ইনস্টা থেকে ঢুঁ মেরে আসতে পারেন আপনিও।