শাড়ি ভারতীয়দের একরকম ঐতিহ্য। আগেকার দিনে খুব ছোট বয়স থেকেই মেয়েরা শাড়ি পরতেন। এখনও যে কোনও অনুষ্ঠানে মেয়েরা প্রাধান্য দেন শাড়িকেই। নাইট, ম্যাক্সি, টপ, প্যান্ট, টি-শার্ট, নাইট স্যুট যতই আরামদায়ক পোশাক থাক না কেন শাড়ির কোনও বিকল্প নেই। অধিকাংশ বাড়িতেই মহিলারা এখনও শাড়িতেই অভ্যস্ত। সিল্ক, গরদ, তাঁত এই সব শাড়ির যেমন কদর রয়েছে তেমনই রোজকার ব্যবহারের জন্য ছাপা শাড়িই পরেন বাড়ির মহিলারা। দিদা-মাসি-ঠাকুমাদের কাছে এখনও ভীষণ রকম জনপ্রিয় হল সুতির ছাপা শাড়ি। এমনকী যে কোনও পুজোতেও দেবতার উদ্দেশ্যে নিবেদন করা হয় এই ছাপা শাড়ি। যে কোনও পুজোতে পাট ভাঙা ছাপা শাড়িতেই এখনও দেখা যায় মা- কাকিমাদের। উপহার দিতেও কিন্তু বেশ ভাল এই শাড়ি।
শাড়ির বিজ্ঞাপনেও প্রাধান্য পায় এই ছাপার শাড়ি। ছোট্ট টিপ, হালকা লিপস্টিক আর…. এই বিজ্ঞাপন এখনও জনপ্রিয় বাজারে। আর সুতির ছাপা শাড়িও এখন দারুণ স্মার্ট। ফ্লেরাল প্রিন্ট, ডিজিটাল প্রিন্ট, প্যাটার্ন এসব এখন বেশ চলছে এই ছাপা শাড়িতে। শাড়ির সঙ্গে ম্যাচিং ব্লাউজ পিসও থাকে। সুতির শাড়ির সঙ্গে হালকা গয়নায় খুব মানানসই সাজ হয়। বিশেষত হাতে বানানো গয়না এই শাড়ির সঙ্গে দেখতে ভাল লাগে। নববর্ষেও সুতির শাড়িতে অনেকে সাজেন। বলা ভাল সুতির শাড়িতে সাজগোজ একরকম নববর্ষের ঐতিহ্য। এবার কথা হল সস্তায় কোথায় কিনবেন ছাপার শাড়ি
কলকাতার বড়বাজার থেকে গড়িয়াহাট অনেক দোকান রয়েছে ছাপা শাড়ির। বড়বাজার, শিয়ালদহ, হরি সাহার হাটে ছাপা শাড়ি কিন্তু পাইকারি দরে পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে এক একটি শাড়ির দাম পড়ে ৭০ টাকা মত। কোথাও আবার ৫০ টাকাতেও পাওয়া যায় এই শাড়ি। তবে সবচেয়ে ভাল এবং সস্তায় ছাপা শাড়ি পেতে আপনাকে একটু কষ্ট করতে হবে। ট্রেন ধরে সোজা চবে যান শান্তিপুরে। সেখানকার শান্তিগড় কলোনিতে প্রচুর শাড়ির কারখানা আছে। আর সস্তায় সুতির ছাপা শাড়ি আপনি পেয়ে যাবেন সেখানেই। শান্তিপুর বঙ্গ তাঁত কাপড়ের হাটে একবার যেতে পারলে তো কথাই নেই। মাত্র ২০ টাকা টোটোভাড়া দিয়ে আপনি পৌঁছে যেতে পারবেন শান্তিপুরের এই হাটে। এখানে জামদানি শাড়িও পেয়ে যাবেন মাত্র ২০০ টাকায়। এছাড়াও ছাপা শাড়ি থেকে শুরু করে তাঁতের শাড়ি সবই পাবেন এই মার্কেটে। বেনারসি শাড়িও পেয়ে যাবেন মাত্র ১৫০০ টাকায়।