কলকাতা মানেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে খুব সুন্দর একটা ছবি। হাওয়া ব্রিজ, কলেজ স্ট্রিট, ভাঁড়ের চা, মল্লিকঘাট ফুলের বাজার, পুজোর আগের নীল আকাশ- শহরের প্রতি কোণায় লুকিয়ে আছে অজানা কত গল্প। পুজোর আগে কলকাতার আনাচকানাচে ঘুরে ছোট ছোট গল্প লেন্সবন্দি করলেন শ্রীতমা। কখনও ফুলের বাজারে, কখনও ব্যস্ত রাস্তায় পথ চলতে চলতে আবার কখনও কুমেরটুলিতে – তুলে ধরলেন তিলোত্তমার ছবি। রোজ রোজ কত মানুষ গঙ্গার পাড়ে, ফুলের বাজারে, কুমোরটুলিতে ফটোশ্যুট করেন। কুমোরটুলিতে আমরা প্রতিনিয়ত প্রচুর মানুষকে ছবি তুলতে দেখি। এই ছবি কখনও পুরনো হয় না। প্রতিবার দেখলে যেন নতুন লাগে। বিশেষত এই পুজোর আগে। পুজোর আগে কলকাতার রূপ যেন আলাদাই থাকে।
কলকাতার এই সুন্দর রূপ এবার ধরা পড়ল শ্রীতমা ওরফে ঝিলিকের ছবিতে। ছোট লাল ইঞ্চি পাড় সাদা শাড়িতে ফটোশ্যুট করলেন শ্রীতমা। একেবারে সাদা মাটা লাল-সাদা হ্যান্ডলুমের সঙ্গে খুব সু্ৃন্দর একটি ব্লাউজ পরেছেন তিনি। সাদা, লালের ব্লাউজ, গ্লাস হাতায় হাকোবার সাদা কুঁচি। খোলা চুলে ঢেউ খেলানো, মধ্যিখানে সীতা করেছেন, কপালে ছোট্ট একটা টিপ আর হাতে সোনালী চুড়ি। সব মিলিয়ে সাদামাটা কিন্তু পুজো পারফেক্ট একটি লুক তৈরি করেছেন তিনি। শাড়ি পরে ঘুরে বেড়ালেন গঙ্গার ঘাটে, বইপাড়ায়, কুমোরটুলিতে, আনাচ-কানাচে। তুললেন দারুণ সব ছি। বই হাতে, একগোছা পদ্মকুঁড়ি হাতে, কখনও হাতে ধরা একগোছা সূর্যমুখী- প্রতিটি ছবিই খুব সুন্দর। একবার দেখে আশ মেটে না। বার বার দেখতে ইচ্ছে করে।
পুজো আর হাতে গোনা কয়েকদিন বাকি। কুমোর পাড়ায় এখন ব্যস্ততা তুঙ্গে। সামনেই গণেশ চতুর্থী। এরপর দুর্গাপুজো। সেই সঙ্গে শোলার গয়না, ঠাকুরের গয়না বানানোর কাজও চলছে। কুমোরটুলিতে ঘুরে ঘুে ছবি, ভিডিয়ো করলেন শ্রীতমা। প্রতি বছর পুজোর আগে অসংখ্য আগমনী শ্যুট হয়। গত কয়েক বছরে সোশ্যাল মিডিয়াতে ছবি আপলোড করার দৌলতে এই শ্যুটেরও ট্রেন্ড বেড়েছে। একেবারে সাধারণ সাজে এমন সুন্দর শাড়ি পরতে পারেন আপনিও। খুব সাধারণ সাজুন, একেবারে খাঁটি বাংলার শাড়ি পরুন, তাতেই কিন্তু দেখতে লাগবে সুন্দর।