রান্নাঘর (Kitchen) সকলেরই খুব প্রিয় জায়গা। আর তাই কেউ সহজে রান্নাঘরের (Kitchen Tips) দখল ছাড়তে চান না। বরং সকলেই চান নিজের মত করে তা গুছিয়ে রাখতে। সুন্দর মশলাার কৌটো, গ্যাস-ওভেন, মাইক্রোআভেন, টোস্টার নানা সরঞ্জামে সাজানো থাকে রান্নাঘর। আজকাল রান্নাঘরেরও কিন্তু আলাদা করে ইন্টেরিয়র করা যায়। অনেকেই আছেন, যাঁদের সারাদিনই কেটে যায় রান্নাঘরে। আবার কারোর কাছে প্রিয় শখ হল রান্না (Cooking) করা। সারা সপ্তাহের কাজের চাপের পর নিজেদের জন্য একটু মুক্তি খুঁজে নিতেও অনেকে হরেক স্বাদের রান্না করেন। সেই রান্না সুন্দর হোক তা সকলেই চান। আবার অফিসের দিনগুলোতে রান্নাঘর জুড়ে চলতে থাকে জোর ছুটোছুটি। তাড়াহুড়োর দিনগুলোতে কী ভাবে সামাল দেবেন, কী ভাবেই বা হয়ে উঠবেন দক্ষ হেঁশেল-কর্ত্রী! রইল শেফদের বিশেষ পরামর্শ।
অভ্যাস আর ধৈর্য
একদিনে রান্না করতে এসেই কিন্তু সবাই সবটা শিখে যান না। তার জন্য প্রয়োজন নিয়মিত অভ্যাসের। প্রথম দিন রান্না পুড়ে যাবে, নুুন বেশি হবে, পরিমাণের তুলনায় তেল বেশি পড়ে যাবে, গ্রেভি করতে গিয়ে হয়তো বেশি শুকনো হয়ে গেল আবার কেক বানাতে গিয়ে ঠিকঠাক বেক হল না- এই নানা রকম সমস্যা কিন্তু আসতেই পারে। আমাদের কাজ হল কী ভাবে সেই সমস্যার সমাধান করা যায়, সে বিষয়ে চিন্তা করা। আর এর জন্য নিয়মিত ভাবে সময় দিয়ে অভ্যাস করে যেতে হবে।
সহজ রেসিপি
প্রথমেই জটিল কিছু ন, বরং সহজ কিছু রান্না করুন। চা, ওমলেট এসব দিয়েই না হয় শুরু করুন। আস্তে আস্তে রোজকার ডাল, ভাত, তরকারি বানান। তার পরের স্টেপ হল লুচি-মাংস- বিরিয়ানি পায়েস। একদিনেই কেই সব রান্না শিখে যায় না। সেই সঙ্গে রান্নার প্রতিও আলাদা করে ভালবাসা থাকতে হবে। তবেই নিজে উন্নতি করতে পারবেন।
হাতের সামনে সব জোগাড় করে রাখুন
রান্না শুরুর আগে সব কিছু হাতের সামনে জোগাড় করে রাখুন। কী কী রান্না করবেন তা আগে থেকেই ঠিক করে নিন। সেই মত সবজি কাটতে হবে। মশলা রেডি করতে হবে। গ্যাসে কিছু একটা বসিয়ে তারপর রান্নার বাকি জোগাড় করবেন এরকমটা করবেন না। বরং আগে থেকেই সব সেরে রাখুন। এতে কিন্তু রান্না তাড়াতাড়ি হয়। সেই সঙ্গে খেতেও ভাল হয়।
নুন-চিনির ব্যালেন্স শিখুন
রান্নার আসল হল স্বাদ। তাই ঠিক কতটা নুন দিলে রান্নায় স্বাদ বাড়বে তা নিজেকেই ঠিক করে দিতে হবে। যে কারণে সব সময় রেসিপিতে উল্লেখ থাকে স্বাদমতো নুন- চিনির। নুন-চিনি ঠিকমতো দিলে রান্নার স্বাদ এমনিই খোলতাই হয়। আর এটাই কিন্তু ভাল রান্নার মূলমন্ত্র।
কৌটোর ব্যবহার
খুব জটিল মারপ্যাঁচের কৌটো রাখবেন না যা খুলতে সময় লাগে। বরং এমন কিছু ব্যবহার করুন যাতে রান্নার সময় অতিরিক্ত সময় নষ্ট না হয়। সব থেকে ভাল কাঁচের স্বচ্ছ কৌটো ব্যবহার করা। এতে কাজের সময় সময় নষ্ট হয় না। সেই সঙ্গে যে সব রান্না আগে থেকে ম্যারিনেট করে রাখলে ভাল হয় তার ক্ষেত্রে সেই নিয়মই পালন করুন।