স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী হল পেঁপে। কাঁচা অথবা পাকা যে কোনও অবস্থাতেই খাওয়া যায় পেঁপে। পেঁপের মধ্যে রয়েছে একাধিক গুণ। হজমের সমস্যার সমাধান থেকে শুরু করে ওজন কমানো সবেতেই ভূমিকা রয়েছে এই ফলটির। ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য একরকম করণসুধা এই ফল। এছাড়াও পেঁপের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ,সি, বি, প্রোটিন এবং ফাইবার। ফ্যাট আর কার্বোহাইড্রেট একেবারেই কম পরিমাণে থাকে। সেই সঙ্গে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর পেঁপে।
পেঁপের মধ্যেকার গ্লাইসেমিক্স ইনডেক্স থাকে ৬০-এর কম। যে কারণে ফিটনেস এক্সপার্টরা রোজকার ডায়েটে এই পেঁপেকে রাখার কথা বলেন। পেঁপের মধ্যে প্যাপাইন উৎসেচক থাকে, যা অ্যান্টি অ্যালার্জি হিসেবে কাজ করে। অন্ত্রের ক্ষত নিরাময়ে পেঁপের থেকে ভাল আর কিছুই হয় না।
তবে পেঁপে আর লেবু একসঙ্গে খাবেন না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই দুই ফল একসঙ্গে খেলে শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যায়। পেটের সমস্যা হয়। এমনকী কোনও অবস্থাতেই পেঁপের সঙ্গে লেবু মেশাবেন না। তা স্যালাড হোক বা পেঁপের চাটনি।
দই এর পেঁপেও একসঙ্গে খাবেন না। পেঁপে গরম খাবার আর দই ঠাণ্ডা। এই দুই খাবার একসঙ্গে খেলে শরীরের ক্ষতি হয়। অস্বস্তি বোধ হয়। পেঁপে খাওয়ার অন্তত ২ ঘন্টা পর দই খান। প্রয়োজনে আরও বেশি গ্যাপ দিয়েও খেতে পারেন।
ফ্রুট স্যালাডেও কমলা লেবু আর পেঁপে কখনও একসঙ্গে রাখবেন না। এই দুটি ফল একসঙ্গে খেলে হজম তো হয়ই না, সঙ্গে শরীরের জন্যও একরকম বিষ। স্বাস্থ্যেরও একাধিক ক্ষতি হতে পারে। একই ভাবে স্যালাডে কিউই আর পেঁপেও একসঙ্গে রাখবেন না।
টমেটো আর পেঁপে একসঙ্গে মিশিয়ে হামেশাই রান্না হয়। তবে এই দুই এর সংমিশ্রণ শরীরের জন্য ভাল নয়। বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয়। তাই টমেটো আর পেঁপে ভুল করেও একসঙ্গে খাবেন নুা। রান্নার সময় বিশেষ সতর্ক থাকুন। স্যালাডেও মেশাবেন না।