উত্তরপ্রদেশ আর বিহারে এই খাদ্যের রমরমা বেশি হলেও আমাদের রাজ্যে তা কম জনপ্রিয় নয়। বিশেষত এই গরমের দিনে। সস্তায় পেট ভরাতে এই ছাতুর শরবতের কোনও তুলনা নেই। আর যাঁরা সকাল সকাল চটজলদি অফিসের জন্য বেরিয়ে যান তাঁরাও ঝটপট গ্লাসে গুলে খেয়ে ফেলেন ছাতু। ছাতু, গুড় আর সামান্য নুন দিয়ে গুলে একগ্লাস শরবত খেলে পেট ঠান্ডা থাকে অনেকক্ষণ পর্যন্ত খিদে পায় না। আবার এই ছাতুর সঙ্গে লঙ্কা কুচি, পেঁয়াজ কুচি, ধনেপাতা কুচি দিয়ে মেখে খেতেও কিন্তু বেশ লাগে। তবে এসব ছাড়াও রান্নাঘরে ছাতু অনেক কাজে লাগে। ব্যবহার করতে জানেন কি?
ছাতুর পরোটা জলখাবারে খুবই বিখ্যাত। আপনি তা বানিয়ে নিতে পারেন বাড়িতেও। একটি বাটিতে ছাতু, আদা কুচি, পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা লঙ্কা কুচি, রসুন কুচি, কালোজিরে, সামান্য জোয়ান, লেবুর রস, ২ চামচ তেল আর স্বাদমতো নুন দিয়ে খুব ভাল করে মেখে নিতে হবে। এবার আটা খুব ভাল করে ময়ান দিয়ে মেখে নিন। এবার ওর মধ্যে ছাতুর এই পুর ভরে সেঁকে পরোটা বানিয়ে ফেলুন।
ছাতু দিয়ে বানিয়ে নিন প্রোটিন শেক। দোকানের কেনা যে কোনও শেককে হার মানিয়ে দেবে। ছাতুর সঙ্গে মুড়ি গুঁড়ো, বাদাম গুঁড়ো, আমন্ড গুঁড়ো একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এবার দুধ বা জল দিয়ে গুলে খেলেই হবে। ওয়ার্ক আউটের পর এই পানীয় খুব ভাল কাজ করে। এছাড়াও ছাতুর সঙ্গে ভাজা জিরের গুঁড়ো আর নুন মিশিয়েও শরবত বানিয়ে খেতে পারেন।
তরকারির গ্রেভি বানাতেও কায়দা করে কাজে লাগান ছাতু। কোনও কারণে বেশি জল পড়ে গিয়েছে রান্নায়? ছাতু একটু গুলে মিশিয়ে নিন। ঘন গ্রেভি পেয়ে যাবেন মুহূর্তের মধ্যে। খেতেও লাগবে ভাল।
লাড্ডু খেতে ভালবাসেন? ছাতু দিয়েই বানিয়ে নিন। কড়াইতে ঘি দিয়ে ওর মধ্যে ছাতু দিয়ে ভাল করে নেড়ে নিন। এবার লাল হয়ে এলে চিনি মিশিয়ে দিন। বাদাম গুঁড়ো করে মিশিয়ে দিন। আবারও একটু ঘি দিন। বেশ ভাল পাক হয়ে এলে ছাতু দিয়ে লাড্ডু বানিয়ে নিন। এই লাড্ডু খেতে যেমন ভাল লাগে তেমনই খুব পুষ্টিকরও।
বাড়িতে বেসন নেই? বড়া ভাজতে মিশিয়ে নিন ছাতু। তাতে মাখা বেশ আঁট হবে আর খেতেও বেশ ভাল লাগবে।