শেষ কয়েক বছরের গবেষণা বলছে ভারতে মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ কিন্তু হৃদরোগ। সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে প্রতি ৪ জনের মধ্যে ১ জনের মৃত্যু হচ্ছে হৃদরোগে। বাড়ছে হার্ট অ্যাটার্ক, হার্ট ফেইলিওরের মত ঘটনাও। ভারতে প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ ভুগছেন হৃদরোগে। যা কিন্তু রীতিমতো উদ্বেগের কারণ। আর এক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছে কমবয়সীরাই। হিসেবে দেখা গিয়েছে ২৮ বছর বয়সীদের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা কিন্তু সবচাইতে বেশি। এর কারণ তাদের অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা। অতিরিক্ত পরিমাণে মদ্যপান, ধূমপান, স্ট্রেস এসব কিন্তু বাড়িয়ে তুলছে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা। এছাড়াও যথেচ্ছ পরিমাণ ফাস্টফুড খাওয়ার ফলে ধমনীতে ব্লকেজের সমস্যা আসছে। বাড়ছে কোলেস্টেরল। ক্যালেরি যত পরিমাণে গ্রহন করছেন তার সিকিভাগও কিন্তু খরচা হয় না। শরীরচর্চার অভ্যাসটাই আজকাল অনেকের মধ্যে হারিয়ে গিয়েছে। আর্টারিতে চর্বি জমে যাওয়া মোটেই ভাল লক্ষণ নয়। আর তাই সুস্থ থাকতে যে সব খাবার এড়িয়ে চলতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা
ফ্রেঞ্চ ফ্রাই- যে কোনও রকম ডিপ ফ্রাই আমাদের শরীরের জন্য মোটেই ভাল নয়। আর তার মধ্যে তালিকার একেবারে উপরের দিকে আছে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই। এছাড়াও এর মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট। যা আমাদের রক্ত শর্করাকে বাড়িয়ে দেয়।
আইসক্রিম- যে কোনও সময় আইসক্রিম খেতে বেশ ভাল লাগে। আইসক্রিমের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ স্যাচুরেটেড ফ্যাট যা কিন্তু হার্টের জন্য খারাপ। সেই সঙ্গে থাকে প্রচুর পরিমাণ ক্যালোরিও। যা আমাদের ওজন বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে ডায়াবিটিসের সমস্যাও ডেকে আনে। নিয়মিত খেলে কোলেস্টেরল বাড়ে।
পিৎজা- চটজলদি খাবার হিসেবে পিৎসা খুবই জনপ্রিয়। কিন্তু পিৎজার মধ্যে থাকে স্যাচুরেটেড ফ্যাট। পিৎসা খেলে এক স্লাইসের বেশি নয়। আর তা খান দুপুরের মধ্যেই।
সফট ড্রিংক- সফট ড্রিংক খেতে ভাল। আরামও দেয়। কিন্তু শরীরের জন্য একেবারে বিষ। এই ড্রিংকের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ কার্বোনেটেড থাকে। সোডা থাকে। যা কিন্তু ইনসুলিনের পরিমাণ বাড়ায়। সেই সঙ্গে ওজনও কিন্তু বাড়িয়ে তোলে।
রেড মিট- রেট মিট শরীরের জন্য একেবারেই বিষ। আর তাই চেষ্টা করুন এই মাংস একেবারে এড়িয়ে যেতে। এটি শরীরের জন্য একেবারেই খারাপ। সেউ সঙ্গে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে। প্রায় ২০,০০০ মানুষের উপর এই পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে রেড মিট আমাদের শরীরের জন্য কতটা খারাপ। সেই সঙ্গে প্রক্রিয়াজাত খাবারও এড়িয়ে চলুন। এই খাবার শরীরের জন্য সবচেয়ে খারাপ।
ফ্রায়েড চিকেন- চিকেন ওজন কমানোর জন্য ভাল। প্রোটিনে ভরপুর। কিন্তু এই চিকেন ভেজে দিসেই তার যাবতীয় পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। তাই এই চিকেন একেবারেই এড়িয়ে চলুন।