Ayurvedic Tips: রোজ পেট পরিষ্কার না হলে শরীর আর মনও ভাল থাকে না। দিনের পর দিন কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও ভাল লক্ষণ নয়। সেখান থেকে পাইলস, পরবর্তীতে আসতে পারে ক্যানসারের সমস্যাও। এছাড়াও বেশ কিছু ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণই হল এই কোষ্ঠকাঠিন্য। বর্তমানে জীবনযাত্রার কারণেও কিন্তু বাড়ছে এই দুই সমস্যা। অতিরিক্ত পরিমাণ ফাস্ট ফুড খাওয়া, মাংস খাওয়া, তেল-মশলা বেশি খাওয়া, ফাইবার একেবারেই না খাওয়া বাড়িয়ে দিয়ে কোষ্ঠকাঠিন্যের সম্ভাবনা। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে খাবারও ঠিকমতো হজম হয় না। ফলে মলত্যাগে অসুবিধে হয়। গ্যাস-অম্বল-পেট ফেঁপে যাওয়ার মত সমস্যা লেগেই থাকে। দিনের পর দিন অন্ত্রের উপর চাপ পড়লে বমি বমি ভাব, খিদে মন্দা, ক্লান্তি, দুর্বলতা এসবও বাড়তে থাকে। অনেকের ক্ষেত্রে পায়ুদ্বার দিয়ে রক্তপাতও হয়। যেখান থেকে একাধিক শারীরিক জটিলতা আসে। দিনের পর দিন কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে গেলে সেখান থেকেই আসে অর্শ বা পাইলস।
কোষ্ঠকাঠিন্যের চিকিৎসা
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় অনেকেই যেমন ভরসা করেন আর্য়ুবেদের উপরে তেমনই অবার প্রথম থেকে অ্যালোপ্যাথি ওষুধও খান অনেক মানুষ। তবে সমস্যা জটিল হবার আগেই চিকিৎসকের কাছে যান। প্রয়োজনীয় টিপস এবং ওষুধ মেনে চলুন। অনেকের পারিবারিক ইতিহাসেই থাকে এই সমস্যা। সেক্ষেত্রে আরও বেশি সতর্ক থাকা উচিত প্রথম থেকেই। ফাইবার বেশি করে খেতে হবে। যাঁরা এই সমস্যায় ভুগছেন তাঁদের তিনটি পরামর্শ দিয়েছেন আর্য়ুবেদ চিকিৎসক দীক্ষা ভাবসার। রোজকার খাবারে পরিবর্তন আনার পাশাপাশি এই তিন খাবারও অার্য়ুবেদ মতে এড়িয়ে যাওযার কথা বলেছেন তিনি। যেমন-
টকদই- টকদই আমাদের শরীরের জন্য খুব ভাল। রুচি ফেরাতেও সাহায্য করে। কিন্তু দই খেলে বাড়ে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা। তাই রোগ-সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তিন্তু দই খাবেন না। তা মিষ্টি হোক বা টক। এছাড়াও দুধ থেকে তৈরি খাবার এড়িয়ে যেতে পারলেও ভাল। এতে বদহজমের সমস্যা বাড়ে।
জিরে- জিরেরও একাদিক উপকারিতা রয়েছে। জিরে আমাদের খিদে কমায়। ফ্যাট গলাতেও সাহায্য করে। এছাড়াও গ্যাস-অম্বলের সমস্যায় রোজ খাওয়া যায় জিরে। ডায়ারিয়া কিংবা খিদেমন্দা হলে ভাল কাজ করে জিরে কিন্তু কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় তা মোটেই ভাল কাজ করে না।
কফি- কফির মধ্যে যে ক্যাফেইন থাকে তা শরীরের জন্য ভাল। শরীরকে উত্তেজিত করে তুলতে পারে। ফলে মলত্যাগ সহজ হয়। কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণ ক্যাফইনও আবার শরীরের জন্য ভাল নয়। এতে বাড়ে কোষ্ঠকাঠিন্যের সম্ভাবনা। ডিহাইড্রেশনও হতে পারে। তাই কফি এড়িয়ে চলুন। দুধ-চিনি দিয়ে বা ব্ল্যাক কফি কোনওটাই কিন্তু বেশি খাবেন না।
যা খাবেন
দিন শুরু করুন চা কিংবা কফিতে নয়। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে একগ্লাস ইষদুষ্ণ জলের সঙ্গে এক বড় চামচ গাওয়া ঘি খান। এতে উপকার হবে অনেক বেশি। এছাড়াও গরম ভাতে ঘি খেতে পারেন।