আগেকার দিনে রূপকথার গল্পে শোনা যেত যে রানিদের হাড় মড়মড়ি রোগ হয়েছে। বিছানায় শুয়ে থাকলে মড়মড় করে আওয়াজ হত। শরীর সুস্থ রাখতে হাড় মজবুত রাখতেই হবে। কারণ হাড় মস্তিষ্ক, হার্ট এবং অন্যান্য অঙ্গলুকে ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে। হাড় মজবুত করতে হলে রোজের খাবারের মধ্যে ভিটামিন ডি রাখতেই হবে। সেই সঙ্গে প্রোটিন আ ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। শরীর যদি ঠিকমতো পুষ্টি না পায় তাহলে হাড়ের গঠন ঠিকমতো হবে না। শরীরে পুষ্টির অভাবেই অস্টিওপরোসিসের মতো রোগ হয়। এক্ষেত্রে পুষ্টিবিদরা শুকনো আলুবোখরা খাবার পরামর্শ দিচ্ছেন। ড্রাই ফ্রুটস হিসেবে বাজারে কিনতে পাওয়া যায় এই ফল। আর এই আলুবোখরা হাড়ের শক্তি বাড়াতে ভীষণ ভাবে সাহায্য করে।
অস্টিওপোরোসিস হল হাড়ের রোগ যা যে কোনও বয়সে কিন্তু হতে পারে। এতে হাড় অনেক বেশি ভঙ্গুর হয়ে যায়। সেই সঙ্গে হাড় দুর্বলও হয়ে যায়। পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে এই রোগে আক্রান্তের হার অনেক বেশি। মেনোপজের পরবর্তী সময়ে সমস্যা আরও বেশি বাড়ে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে হাড়ের জোর বাড়াতে খুব ভাল কাজ করে শুকনো আলুবোখরা। বেশ কিছুজনের উপর তা প্রয়োগ করেও দেখা গিয়েছে। মেরুদন্ড, হাঁটু, কাঁধের হাড়ের ঘনত্বের উপর পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে যে এই ফলে সমস্যার সমাধান হয়েছে। এই আলুবোখরার মধ্যে থাকে পলিফেনল নামের একরকম অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা যে কোনও রকম প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে, হাড় শক্তিশালী করে। এছাড়াও এর মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম, যা হাড়ের জন্য খুব ভাল। থাকে তামা, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন কে- যা হাড় শক্তিশালী করতে কাজে আসে। আক্রান্তদের হাড়ের ক্ষয় রোধ করতে এই সব উপাদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
হাড়ের ক্ষয় রোধ করা ছাড়াও এই ফলের আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে। বার্ধক্যের প্রাথমিক লক্ষণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে, রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়াতে, রক্তশর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে, পেটের সমস্যার মোকাবিলায়, ভিটামিন বি আর সি এর মাত্রা ঠিক রাখতে, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজে আসে এই ফল।