বাঙালি বাড়িতে যেমন রসিয়ে রান্না বান্না হয় তেমনই পেটের সমস্যাও প্রায়দিন লেগে থাকে। মশলাদার খাবার যেমন মাছ, মাংস, ডিম এসব বেশি খেলে অনেক সময়ই হজমের সমস্যা হয় সেই সঙ্গে গ্যাস-অম্বল লেগেই থাকে। গ্যাস হলে খুবই কষ্ট হয়। পেট ফেঁপে থাকে, বুকে ব্যথা করে, শরীরে একটা অস্বস্তি লেগেই থাকে। আর গ্যাস মোটেই ভাল জিনিস নয়। গ্যাস হলে হার্টে চাপ পড়ে, যেখান থেকে হার্ট অ্যার্টাকের সম্ভাবনাও থেকে যায়। অনেক সময় কোনও ওষুধের কারণেও সেখান থেকে গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। যাদের হজম শক্তি কম তাদের এই গ্যাস-অম্বলের সম্ভাবনা কিন্তু সবচাইতে বেশি। অনেক সময় খাবারও এর জন্য দায়ী হয়। পেঁয়াজ, রসুন বেশি খেলে পেটে গ্যাস বেশি হয়। এছাড়াও আরও কিছু খাবার থাকে যা খেলেই গ্যাস অবধারিত। তাই এই সব খাবার এড়িয়ে যেতে পারলেই সবচেয়ে ভাল-
ডাল, বিনস এসব শরীরের জন্য ভাল। তবে বেশি খেলে সেখান থেকে সমস্যা হতে পারে। ডালের মধ্যে থাকে অলিগোস্যাকারাইড। এই অলিগোস্যাকারাইড হল হাই ফাইবার, যা হজম করতে সমস্যা হয়। এর সঙ্গে চিনি মিশলেই গ্যাস বেশি হয়।
ব্রকোলি, বাঁধাকপি, ফুলকপির মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণে রাফিনোজ। রাফিনোজ এক প্রকার শর্করা। আর এই শর্করা শরীর সহজে হজম করতে পারে না।
পেঁয়াজ, রসুনের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফ্রুকটান। এটি একরকম দ্রবণীয় ফাইবার এবং তা সহজেই পেটের মধ্যে গ্যাস তৈরি করে ফেলে। কাঁচা সবজির স্যালাড খেলেও কিন্তু এই সমস্যা হতে পারে।
অনেকের ধারণা গ্যাস হলে কোল্ড ড্রিংক খেলে স্বস্তি পাওয়া যায়। তবে এই ভাবনা ভীষণই ভুল। কোল্ড ড্রিংকের মধ্যে থাকে কার্বন ডাই অক্সাইড। যা পেটে আটকে তীব্র পেট ব্যথার কারণ হতে পারে।
আর তাই গ্যাসের সমস্যা হলে নিয়মিত ভাবে এই কয়েকটি পানীয় খান সকালে।
রোজ সকালে ধনে, মৌরি আর জিরে ভেজানো জল খান। এতে গ্যাসের সমস্যার থেকে অনেকখানি রেহাই পাওয়া যায়।
খাবার খাওয়ার পর জোওয়ান জলে ফুটিয়ে এক গ্লাস খান। এতেও সমস্যার সমাধান হয়।
গ্যাসের সমস্যা বেশি হলে নুন খাওয়া একেবারে কমিয়ে দিতে হবে।
যে কোনও খাবার ধীরে খান এবং চিবিয়ে খান। এতে ভাল হজম হবে।
পর্যাপ্ত পরিমাণে জলও খেতে হবে নিয়ম করে