পুষ্টিবিদরা সব সময় বলেন খাবার ক্যালোরি (Calorie) মেপে খাওয়ার কথা বলেন। আর নিয়মিত ভাবে যদি শরীরের প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত খাবার খাওয়া হয় তাতে শরীরের ক্ষতি হয় অজান্তেই। অতিরিক্ত ক্যালোরি ওজন বাড়ায়, ওবেসিটির (Obesity) সমস্যা ডেকে আনে সেই সঙ্গে ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরলের মত সমস্যা তো থাকেই। পছন্দের খাবার মানেই যে স্বাস্থ্যকর (Healthy) হবে তা নয়। বরং আমাদের পছন্দের এমন কিছু খাবার যা আমরা রোজ খাই তার জন্যই কিন্তু থেকে যায় ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা। এদিকে আমরা মনে মনে ভাবছি সেই সব খাবার আমাদের শরীরের জন্য স্বাস্থ্যকর। আর তাই সুস্থ থাকতে চাইলে এই সব খাবার কিন্তু আজই বাদ দিন তালিকা থেকে। এক সপ্তাহের মধ্যেই ওজন ঝরবে। সেই সঙ্গে অন্যান্য শারীরিক সমস্যাও আসবে নিয়ন্ত্রণে।
প্রসেসড মিট- ব্রেকফাস্টে বেকন, হ্যাম, সসেজ, সালামি এসব ছাড়া চলে না। কিন্তু এই প্রত্যেকটি উপাদান আমাদের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। এই কয়েকটি খাবার কিন্তু ক্যানসারের মত সমস্যা ডেকে আনতে অনেকখানি দায়ী। রেড মিট এমনিতেই আমাদের শরীরের জন্য ভাল নয়, আর তারপর যখন তা হয়ে যায় প্রসেসড মিট তাতে শরীরের একাধিক ক্ষতি হয়। শুধুমাত্র অতিরিক্ত পরিমাণে প্রসেসড ফুড আর রেডমিট খাওয়ার কারণেই প্রতি বছর অনেক মানুষের মৃত্যু হয়।
অতিরিক্ত চিনি- চিনি আমাদের শরীরের জন্য মোটেই ভাল নয়। অতিরিক্ত চিনি কিন্তু আমাদের শরীরে একাধিক সমস্যা ডেকে আনে। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। সেই সঙ্গে একাধিক অঙ্গও ড্যামেজ করে দেয়। এছাড়াও অতিরিক্ত চিনি খেলে শরীরে ইনসুলিন প্রয়োজনের তুলনায় কম পরিমাণে তৈরি হয়। আর সেখান থেকে আসে একাধিক সমস্যা। ডায়াবিটিসের মত সমস্যা তো আসেই।
মাইক্রোওভেনে গরম করা খাবার- সময় বাঁচাতে সব বাড়িতেই এখন মাইক্রোওভেন ভরসা। ফ্রিজের খাবার আমরা মাইক্রোওভেনেই গরম করে খাই। কিন্তু যে সব কন্টেনারে খাবার আসে সেই সব কন্টেনারে খাবার গরম করে একেবারেই খাবেন না। কারণ প্লাস্টিকের সঙ্গে মাইক্রোওভেনের হিটের বিষক্রিয়ায় BPA- তৈরি হয় যা আমাদের ব্রেস্ট ও প্রস্টেট ক্যানসারের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।
আলুর চিপস- খেতে খুবই ভাল, আড্ডায় মুখ চালাতে দারুণ সঙ্গী। কিন্তু এই আলুর চিপস আমাদের শরীরের জন্য মোটেই উপকারী নয়। কারণ এর মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ সোডিয়াম। সেই সঙ্গে ক্যালোরির পরিমামও অনেকটাই বেশি। আর তাই সুস্থ থাকতে চাইলে কোনও রকম চিপস কিনবেন না বা খাবেন না।
পাঁউরুটি- সাদা পাঁউরুটির মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণে সুগার, কার্বোহাইড্রেট, সোডিয়াম। যা আমাদের ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে উচ্চরক্তচাপের মত সমস্যা ডেকে আনে। ২০১৮ সালে জার্নাল নিউট্রিয়েন্টসে একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। আর সেখানেই বলা হয়েছে একটা হোয়াইট ব্রেড ৩৯ শতাংশ হাই ব্লাড প্রেসারের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।