জুলাই মাসের একটা সপ্তাহ কেটে গেলেও সেই অর্থে বর্ষা আসেনি শহরে। রবিবার দুপুরের পর থেকে বৃষ্টি শুরু হলেও এর আগে জল আর রোদের খেলার চলছিল। কখনও বৃষ্টি আবার তার পর মুহূর্তে আকাশ হাসছে শরতের। কিন্তু এর মাঝেই সর্দি-গর্মি করে গিয়েছে অনেকের। যদিও বর্ষাকালে সর্দি, কাশি, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গি, পেটের সমস্যা, জ্বর, টাইফয়েড ও নিউমোনিয়া খুবই সাধারণ। কিন্তু এখন আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে কোভিড। সুতরাং সুস্থ থাকতে আপনাকে কিছু না কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করতেই হবে।
এখন প্রতিটা বাড়িতে একজন করে এমন রোগী রয়েছেন যিনি জ্বরে ভুগছেন গত দু’দিন ধরে। জ্বর ছেড়ে গেলেও রয়েছে গা-হাত-পায়ে ব্যথা, মাথার যন্ত্রণা। বুকে বসে রয়েছে কফ। এই পরিস্থিতিতে এড়াতে কিছু আয়ুর্বেদিক পানীয়র রেসিপি শেয়ার করেছেন আয়ুর্বেদ চিকিৎসক ঐশ্বর্য সন্তোষ। তিনি একটি আয়ুর্বেদিক চায়ের রেসিপি শেয়ার করেছেন, যা পান করলে আপনি বর্ষায় হওয়া নানা সংক্রমণের হাত থেকে সুরক্ষিত থাকতে পারবেন। সেগুলো কী-কী চলুন দেখে নেওয়া যাক…
শুকনো আদা-ধনের চা ওষুধ হিসেবে কাজ করে
শুকনো আদার মধ্যে অনেক ধরনের ঔষধি গুণ পাওয়া যায়। এই উপাদানটি শুধু শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা গড়ে তোলে না। পাশাপাশি এটি শরীরকে একাধিক রোগের হাত থেকে রক্ষা করে। শুকনো আদা কফের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। আয়ুর্বেদ চিকিৎসকরা বলেন যে শুকনো আদা থেকে তৈরি চা হল একটি ঔষধি পানীয় যা বৃষ্টির দিনে আপনার শরীরকে ভেতর থেকে উষ্ণ রাখে।
শুধু তাই নয়, শুকনো আদা হজমের জন্য ভাল। এটি মেটাবলিজম বাড়ায় এবং এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। শুকনো আদা সর্দি ও কাশির উপসর্গ থেকে মুক্তি দিতেও সাহায্য করে। পাশাপাশি জ্বরের কারণে হওয়া গা-হাত-পায়ের ব্যথা, পেশির যন্ত্রণা কমাতেও সাহায্য করে।
কীভাবে তৈরি করবেন এই পানীয়-
এর জন্য ১ চা চামচ শুকনো আদা গুঁড়ো, ১ চা চামচ ধনের বীজ, ১ চা চামচ গোলমরিচ, ২ চা চামচ জিরে গুঁড়ো, স্বাদ অনুযায়ী গুড়, ৩ কাপ জল নিন। সসপ্যানে প্রথমে জল গরম করে নিন। এরপর জলে একে একে সমস্ত উপাদান দিয়ে দিন। জল ফুটে উঠলে গ্যাস বন্ধ করে দিয়ে চা ছেঁকে নিন। সামান্য মধু মিশিয়ে পান করুন এই আয়ুর্বেদিক চা।